Chemical Management Policy | Bangla | Download

Chemical Management Policy | Bangla | Download

Chemical Management Policy | কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা নীতি

উদ্দেশ্যঃ

কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম) কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন, কোম্পানীর প্রচলিত বিধি বিধান, ক্রেতার বা বায়ারের আচরণ বিধির অনুসরন, বায়ার কর্তৃক বা অন্য কোন উপায়ে নিষিদ্ধ কেমিক্যাল ক্রয় বা ফিনিশিং এর সকল পর্যায়ে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করণ নিশ্চিত করে। কর্মক্ষেত্রে পরিবেশ বান্ধব, কম ক্ষতিকর/ ঝুঁকিপূর্ণ, নিরাপদ কেমিক্যালের ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং ব্যবহারকারীদেরকে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা, কর্মক্ষেত্রের আশপাশের  এবং এর বাইরের পরিবেশকে দূষণ ও বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করাই এ নীতিমালা প্রণয়নের উদ্দেশ্য ।

১.২ লক্ষ্যঃ

কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম) এর উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কোন অবস্থাতেই যাতে বায়ারের অননুমোদিত বা নিষিদ্ধ কেমিক্যাল প্রবেশ করে করতে না পারে এবং সর্বদা পরিবেশ বান্ধব কেমিক্যাল ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়, যদি তা সম্ভব না হয় তবে সেক্ষেত্রে অধিকতর ক্ষতিকর/ ঝুঁকিপূর্ন কেমিক্যাল ব্যবহার পরিহার করে কম ক্ষতিকর/ ঝুঁকিপূর্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করা ও সকল প্রকার ক্ষতিকর/ ঝুঁকিপূর্ন কেমিক্যাল ব্যবহার হতে বিরত থাকার লক্ষ্যেই এ নীতিমালা প্রনীত।

১.৩ আইনের বিধানঃ 

কোম্পানীর প্রচলিত বিধি বিধান, বিভিন্ন বায়ারের আপডেটেট MRSL /RSL অনুসরন, বিভিন্ন খ্যাতনামা বায়ারের Restriction List অনুসরন এবং সর্বোপরি আপডেটেট ইমপ্লিমেন্টেশন টুল কিট অনুসরন করে অত্র কারখানায় কেমিক্যাল ক্রয় ও ব্যবহার করা হয়।

১.৪  অঙ্গীকারঃ

জিরো ডিসচার্জ অব হ্যাজারডাস কেমিক্যাল-২০২০ মিশনকে সফল করার লক্ষ্যে পরিবেশ বান্ধব নিরাপদ কেমিক্যাল ক্রয় ও ব্যবহার করার ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন ও বায়ারের আপডেটেট MRSL/RSL অনুসরন এবং ZDHC Manufacturing Restricted Substances List-(MRSL)  এর সকল নিয়ম-কানুন মেনে ZDHC Positive list ধারী প্রস্ততকারী কোম্পানী থেকে কেমিক্যাল ক্রয় ও যথাযথভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসাকে লাভজনক ও নিরাপদ করা কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম) এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষসহ সকলের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য। এরই প্রেক্ষিতে  কেমিক্যাল ক্রয় ও ব্যবহার সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরনের শাধ্যেমে জিরো ডিসচার্জ অব হ্যাজারডাস কেমিক্যাল- ২০২০ মিশনকে সফল করার জন্য কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম) এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

আরও দেখতে পারেন

sedex meaning

Policy No – 17. Trauma Policy

pest control policy

Policy No – 18. Pest Control Policy

২.০ অর্গানাইজেশন/ দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি:

কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম) কর্তৃপক্ষ নিরাপদ কেমিক্যাল ক্রয় নীতিমালা  বাস্তবায়নে একটি কমিটি গঠন করেছেন যা নিম্নরুপঃ

Organogram of Chemical Management

৩.১ ক্রয় প্রক্রিয়াঃ

অত্র কারখানায় নিরাপদ পরিবেশ বান্ধব কেমিক্যাল ক্রয় ও ব্যবহার কার্যক্রম নির্বিগ্নে ও সুচারু রুপে সম্পন্ন করার জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরন করা হবে,

ক্রয় নীতিমালাঃ

০১. বায়ারের চাহিদা মাফিক ষ্টাইল ও অর্ডারের বিপরীতে কি কি কেমিক্যাল লাগবে তা উল্লেখ করে স্যাম্পল সংগ্রহ করার জন্য চাহিদা পত্র তৈরি করে সাপ্লাইচেইনকে অবগত করতে হবে।

০২. কেমিক্যাল ক্রয় সংক্রান্ত কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অবশ্যই কেমিক্যাল বিষয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে অথবা কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ হতে হবে।

০৩. সাপ্লাইচেইন উল্লেখিত কেমিক্যালের সকল TDS, MSDS সহ স্যাম্পলের জন্য পরিচিত সাপ্লায়রদের (Potential Chemical Supplier) অবগত করবে।

০৪. সাপ্লায়ার TDS,MSDS, CoA( Certificate of Analysis) সহ স্যাম্পল ষ্টোরে সরবরাহ করবে।

০৫. Environment & Chemical Responsible সকল ডকুমেন্টস ঠিক আছে কিনা নিশ্চিত করবে।

০৬. অত:পর বায়ারদের RSL এ উল্লেখিত নিষিদ্ধ কেমিক্যাল তালিকার অর্ন্তভুক্ত কিনা তা MSDS I RSL চেক করে নিশ্চিত করা হয়।

০৭. ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কেমিক্যালটি অর্ডার করার জন্য সাপ্লাইচেইনকে অবগত করবে এবং সাপ্লাইচেইন অর্ডর করবে। কেমিক্যালটি ইন-হাউজ না হওয়া পর্যন্ত সাপ্লাইচেইন তা ফলো-আপ করবে।

০৮. কেমিক্যালটি কারখানায় পৌঁছালে সর্ব প্রথম সিকিউরিটি ইনচার্জ চেক করবে সব কিছু অক্ষত অবস্থায় আছে কিনা, পরবর্তীতে ষ্টোর ইনচার্জ কেমিক্যালগুলো ডেলিভারী চালানের সাথে মিলিয়ে পরিমাণ বা সংখ্যা ঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত করে কারখানার প্রশাসন প্রধানকে অবগত করে কেমিক্যালগুলো আনলোড করে কেমিক্যালের ড্রাম বা কার্টনের গায়ে FIFO (First In First Out) নম্বর অনুযায়ী ও কেমিক্যালের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ষ্টোরে সংরক্ষণ করতে হবে।

০৯. পরবর্তীতে Environment & Chemical Responsible কেমিক্যালের ড্রাম বা কার্টনের লেবেল ঠিক আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে বাংলা ভাষায় গঝউঝ ও লেবেল লাগিয়ে দিবেন। কেমিক্যাল যদি তরল হয় তবে সেক্ষেত্রে সেকেন্ডারী কনটেইনমেন্টের ব্যবস্থা করতে হবে।

১০. পরবর্তীতে রিকুইজিশনের মাধ্যমে ষ্টোর থেকে কেমিক্যাল নিয়ে প্রোডাকশনে ব্যবহার করবে।

৩.২ পরিবহণঃ

কেমিক্যাল MSDS এ বর্ণিত উপায়ে স্থানান্তর/ পরিবহণ করতে হবে। কেমিক্যাল পরিবহণ করার সময় ট্রলি বা অন্য কোন Fork Lifter ব্যবহার করতে হবে।

৩.৩ লেবেলিংঃ

০১. কেমিক্যাল কন্টেইনারের লেবেলিং নির্দেশিকা অনুযায়ী হতে হবে।

০২. লেবেলিংয়ে নিম্ন লিখিত তথ্য থাকতে হবে,

Chemical name, CAS/EC No., Hazard Pictogram.

০৩. সমস্ত কেমিক্যাল পাত্রে পরিস্কারভাবে কেমিক্যালের নাম এবং  ক্ষতিকারক চিহ্ন নিশ্চিত করতে হবে।

৩.৪. ষ্টোরেজঃ

০১. এমএসডিএস এর তথ্য অনুযায়ী সমস্ত কেমিক্যাল সংরক্ষণ করতে হবে।

০২. সমস্ত কেমিক্যাল কমপেটেবেলিটি চার্ট অনুযায়ী পৃথক পৃথক চেম্বারে সংরক্ষণ করতে হবে।

০৩. কেমিক্যাল ষ্টোরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, সঠিক বায়ু সঞ্চালন পদ্ধতি, সমতল ফ্লোর, ও   অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ফাস্ট এইড বক্স, জরুরী আই ওয়াশ, পিপিই ইত্যাদি কেমিক্যাল সংরক্ষনের এলাকায় নিশ্চিত করতে হবে।

০৪. কেমিক্যাল সংরক্ষনের এলাকায় সংক্ষেপিত বাংলা এমএসডিএস নিশ্চিত করতে হবে।

০৫. সমস্ত কেমিক্যালের তথ্য কেমিক্যাল ইনভেনটরি লগে থাকতে হবে।

০৬. সমস্ত কেমিক্যাল ১.৫ মিটারের অধিক উচ্চতায় সংরক্ষণ করা যাবেনা।

০৭. FIFO ( FIRST IN FIRST OUT) সিস্টেম অনুযায়ী কেমিক্যাল ব্যবহার করতে হবে।

০৮. কেমিক্যাল ষ্টোরে কোন কিছু খাওয়া বা পান করা যাবেনা।

৩.৫. কেমিক্যাল ব্যবহারঃ

০১.নিরাপদ কেমিক্যাল কিভাবে ব্যবহার করতে হবে সে সম্পর্কে কেমিক্যাল ব্যবহারের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

০২. সঠিক পিপিই সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

০৩. কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ কার্য পরিচালনা পদ্ধতি নিশ্চিত করতে হবে।

০৪. কেমিক্যালের লেবেলিং, ক্ষতিকারক চিহ্ন, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, ব্যাচ নম্বর, লট নম্বর ইত্যাদি চেক করে কেমিক্যাল ব্যবহার করতে হবে।

০৫. ব্যবহারের পূর্বে এমএসডিএস থেকে কেমিক্যালের ক্ষতিকারক নির্দেশনা দেখে নিতে হবে।

০৬. কেমিক্যাল ব্যবহারের পর কেমিক্যালের পাত্র ঢেকে রাখতে হবে।

০৭. FIFO ( FIRST IN FIRST OUT) সিস্টেম অনুযায়ী কেমিক্যাল ব্যবহার করতে হবে।

০৮. কেমিক্যাল ব্যবহারের পর ভালভাবে হাত ধৌত করতে হবে।

০৯. প্রতিটি কেমিক্যাল বহনের জন্য আলাদা পাত্র ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিটি পাত্রের গায়ে লেবেলিং ও ক্ষতিকারক চিহ্ন থাকতে হবে।

১০. কেমিক্যাল বিতণের ক্ষেত্রে অবশ্যই রেজিষ্টার মেইনটেন করতে হবে।

৩.৬. কেমিক্যাল প্রয়োগঃ

০১. প্রডাকশন ষ্টাফদের কেমিক্যাল প্রয়োগের উপর প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

০২. কেমিক্যালের অপচয় রোধে  ভালমানের কেমিক্যাল ব্যবহার করতে হবে।

০৩. প্রডাকশনে ব্যবহৃত মোট কেমিক্যালের হিসাব রাখতে হবে।

৩.৭. কেমিক্যাল বর্জ্যঃ

০১. রাসায়নিক বর্জ্য হ্রাস করণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

০২. রাসায়নিক বর্জ্য  অপসারন নীতিমালা অনুযায়ী বর্জ্য অপসারন করতে হবে।

০৩. রাসায়নিক বর্জ্য অপসারনের নির্ধারিত ব্যক্তি থাকতে হবে।

০৪. রাসায়নিক বর্জ্য নির্ধারিত জায়গায়, ক্ষতিকারক চিহ্ন, ঢাকনাসহ আলাদা রাখতে হবে।

০৫. রাসায়নিক বর্জ্যরে জন্য নির্ধারিত জায়গা থাকতে হবে এবং সরাসরি সূর্যের আলো , বৃষ্টি  এবং আগুনের উৎস যাতে পৌছাতে না পারে সে ব্যবস্থা থাকতে হবে।

০৬. রাসায়নিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গকে নিয়মিত নিরাপদে কেমিক্যালের ব্যবহারের উপর প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

০৭. রাসায়নিক বর্জ্য পরিশোধনের জন্য অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের নিকট প্রেরণ করতে হবে।

০৮. বায়ারের চাহিদা / আইনানুযায়ী বর্জ্য অপসারন এবং পরিশোধন করতে হবে।

৩.৮  জরুরী অবহিতকরণ পদ্ধতিঃ                        

০১. কারখানায় কেমিক্যাল দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরী অবহিতকরণ/ যোগাযোগ পদ্ধতি থাকতে হবে।

০২. জরুরী অবহিতকরণ/ যোগাযোগ পদ্ধতি নথিভুক্ত ও সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকতে হবে।

০৩. জরুরী অবহিতকরণ/ যোগাযোগ পদ্ধতিতে বহির্গমন পরিকল্পনা পদ্ধতি, জরুরী অবস্থা জ্ঞাত ও প্রতিক্রিয়া এবং যোগাযোগের বিস্তারিত বিবরণ থাকতে হবে।

০৪. জরুরী অবহিতকরণ/ যোগাযোগ পদ্ধতি আপডেট করতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে প্রয়োগ করতে হবে।

৩.৯ বিকল্প কেমিক্যালঃ                        

প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কারখানার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও কেমিক্যালকে কম ঝুঁকপূর্ণ বা ঝুঁকি বিহীন কেমিক্যাল দ্বারা প্রতিস্থাপন করতে হবে।

৩.১০ অভিনব প্রযুক্তি উদ্ভাবনঃ                         

কেমিক্যাল অধিকতর সতর্কতার সাথে পরিবহণ করার জন্য হ্যান্ড ট্রলি/ফর্ক লিফ্টার ব্যবহার করতে হবে।

৪.১ বাস্তবায়ন রুটিন:

কার্যাবলী ( কি) কার্যপ্রনালী  ( কিভাবে) দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি(কে) কার্যকাল ( কখন) সময়সীমা
চাহিদাপত্র তৈরী করাঃ কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে কোন কেমিক্যাল কি পরিমান তা উল্লেখ করে নিয়মিত ইনভেনটরি মাধ্যমে চাহিদা পত্র তৈরী করে কর্তৃপক্ষ বরাবর দাখিল করবে।  ম্যানেজার  প্রোডাকশন কেমিক্যাল ক্রয়ের প্রয়োজন হলে। প্রযোজ্য নয়।
কেমিক্যালের গুনগত গুনগতমান ওসকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সঙগ্রহ করা।  যে কোন কেমিক্যাল ক্রয়ের আগে কেমিক্যালের অরিজিন্যাল GOTS, TDS, MSDS, REACH, Oeko-tex Standard, All Buyer’s RSL Compliance certificate soft copy & hard copy  নিশ্চিত করা। কোম্পানির নিয়োগপ্রাপ্ত ই.সি.আর, ষ্টোর ম্যানেজার, এইচ আর এ্যান্ড কমপ্লাইন্স। কারখানায় ক্রয়কৃত কেমিক্যাল প্রবেশের পরবর্তী সময়ে । প্রযোজ্য নয়।
RSL এর সাথে মিলিয়ে দেখা, MSDS, TDS  সহ সকল কাগজপত্র ও কার্যক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ফ্যাক্টরীতে কেমিক্যাল প্রবেশের পূর্বে কয়েকটি ধাপ অনুসরন করা হয়। প্রথমে কেমিক্যালের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন- এম,এস,ডি,এস, টি,ডি,এস ও গ্যারান্টি লেটার নিশ্চিত করা হয়। পরবর্তীতে কেমিক্যালটি বায়ার কর্তৃক নিষিদ্ধ কেমিক্যাল তালিকার অন্তর্গত কিনা তা নিশ্চিত করা হয়। যথাযথ কর্তৃপক্ষের দ্বারা অনুমোদিত রিকুইজিশনের মাধ্যমে কেমিক্যাল ষ্টোর থেকে উত্তোলন করা হয়। কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ  পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। কর্মরত সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম কোম্পানীর পক্ষ সরবরাহ করা হয়। জরুরী আই ওয়াশ বেসিন ও অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র যথাস্থানে সংরক্ষণ করা হয়। কোম্পানির নিয়োগপ্রাপ্ত ই.সি.আর, কেমিক্যাল ষ্টোর ম্যানেজার, এইচ আর এ্যান্ড কমপ্লাইন্স অফিসার, ফায়ার অফিসার। কর্মকালীন সময়ে সার্বক্ষনিক
অর্ডার প্লেসমেন্ট ও ফলো-আপ করা। কারখানার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কেমিক্রাল অর্ডার করার জন্য সাপ্লাই চেইনকে অবগত করবে এবং সাপ্লাই চেইন অর্ডার গ্রহণ করবে। কেমিক্যাল ইন হাউজ না হওয়া পর্যন্ত সাপ্লাই চেইন তা ফলো আপ করবে। কোম্পানির নিয়োগপ্রাপ্ত ই.সি.আর, কেমিক্যাল ষ্টোর ম্যানেজার, এইচ আর এ্যান্ড কমপ্লাইন্স অফিসার, ফায়ার অফিসার। কেমিক্যাল ক্রয় কালীন সময়ে। সার্বক্ষনিক
কর্মীদের প্রশিক্ষণ ম্যাটেরিয়াল সেফটি ডাটা শিট অনুযায়ী কেমিক্যাল ব্যবহারের সাথে সম্পৃক্ত সকল কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রমিক্ষণে কেমিক্যালের নাম, সরবরাহকারী কোম্পানীর নাম, ভৌত বৈশিষ্ট্য, সম্ভাব্য ক্ষতিকারক নির্দেশনা, প্রাথমিক চিকিৎসা, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করনয়ি, অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা, ব্যবহার ও সংরক্ষণ পদ্ধতি, আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জাম প্রভৃতি বিষয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়। কাম্পানির নিয়োগপ্রাপ্ত ই.সি.আর, এইচ আর এ্যান্ড কমপ্লাইন্স অফিসার কর্মকালীন সময়ে। মাসে কমপক্ষে একবার
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবহৃত, বাতিল  এবং পুরাতন কেমিক্যাল ড্রাম/ কন্টেইনার ব্যবহৃত স্থান থেকে সংগ্রহ করে তা পরিমাপ করে Wastage Godown এ নির্দিষ্ট স্থানে সাময়িক রাখা হয়। এবং পরবর্তীতে এগুলো  Recycling এর জন্য বর্জ্য সংগ্রহকারীকে দেওয়া হয়। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

৪.২ যোগাযোগ রুটিন:

কার্যাবলী যোগাযোগ পদ্ধতি ও মাধ্যম কে করবেন কখন করবেন সময়সীমা
অভ্যন্তরীণ টিমের/ পলিসি কার্যকরী দলের সাথে যোগাযোগ ও তথ্য বিনিময় সভার মাধ্যমে। নিরাপদ কেমিক্যাল ব্যবহার নীতিমালা বিষয়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ, দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসিআর ও এইচ আর এ্যান্ড কমপ্লাইন্স বিভাগের অভ্যন্তরীণ টিম। কেমিক্যাল ক্রয় পরবর্তী সময়ে পলিসি বাস্তবায়িত না হলে কিংবা কারখানার অভ্যন্তরে অনিরাপদভাবে কেমিক্যাল ব্যবহারের কোন ঘটনা ঘটলে। তাৎক্ষনিকভাবে।
মালিক/ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ । সভার মাধ্যমে ও ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে। এজিএম (এ্যাডমিন,এইচ আর এ্যান্ড কমপ্লাইন্স) ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পাদন ও ক্রয় পরবর্তী সময়ে        (প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে) তাৎক্ষনিকভাবে।
ফ্লোর ব্যবস্থাপনার সাথে যোগাযোগ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার মোটিভেশনাল ট্রেনিং, মিটিং ও সাউন্ড সিস্টেম। প্রয়োজনে মোটিভেশনাল ট্রেনিং, মিটিং পুণরায় আরও জোরদার করা হয়। কমপ্লাইন্স বিভাগের ম্যানেজার, দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসিআর , এইচ আর এ্যান্ড কমপ্লাইন্স অফিসারগণ। প্রয়োজনে জিএম (এ্যাডমিন,এইচ আর এ্যান্ড কমপ্লাইন্স)যোগযোগ করে থাকেন। কেমিক্যাল ক্রয় পরবর্তী সময়ে পলিসি বাস্তবায়িত না হলে কিংবা কারখানার অভ্যন্তরে অনিরাপদভাবে কেমিক্যাল ব্যবহারের কোন ঘটনা ঘটলে। ফ্লোর ব্যবস্থাপনার সাথে যোগাযোগ
কর্মরত শ্রমিকদের সাথে যোগাযোগঃ বিভিন্ন প্রকার মোটিভেশনাল ট্রেনিং, মিটিং ও সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে শ্রমিকদেরকে অবহিত করা হয়। এছাড়া শ্রমিকদেরকে অবহিত করার জন্য কারখানার নোটিশ বোর্ডে এই নোটিশ টানানো আছে। কর্মরত শ্রমিকদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য রয়েছেন কমপ্লাইন্স বিভাগের ম্যানেজার,  এইচ আর এ্যান্ড কমপ্লাইন্স অফিসারগণ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসিআর। প্রয়োজনে ম্যানেজার, জিএম (এ্যাডমিন,এইচ আর এ্যান্ড কমপ্লাইন্স)যোগযোগ করে থাকেন। কর্মকালীন সময়ে । ৪৫ মিনিট

৪.৩ ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল রুটিন:

কার্যাবলী          কার্যপদ্ধতি  কে করবেন

 কখন করবেন

অভ্যšন্তরীণ অডিট।

 

অডিট পরিচালনার ক্ষেত্রে যা ব্যবহার করা হয়-

০১. চেক লিস্ট

০২. কেমিক্যাল ক্রয় সংক্রান্ত  প্রশ্নমালা

অডিট পরিচালনা করা হবে-

০১. শ্রমিকদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে

০২. ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে

০৩. নথিপত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে

০৪. চাক্ষুস পরিদর্শনের মাধ্যমে

প্রতিষ্ঠানের বৈধ ট্রেড  লাইসেন্স, এমএসডিএস. টিডিএস, এসিড লাইসেন্স, রিস্ক এ্যসেসমেন্ট, ট্রেনিং ডকুমেন্ট, পিপিই ইস্যু ডকুমেন্ট, ফিডব্যাক ডকুমেন্টস্, ওয়েস্ট ওয়াটার টেষ্ট রিপোর্ট ,সরকারী অনুমোদন আছে কিনা তা চেক করতে হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার ডকুমেন্টস।

ইন্টারনাল অডিট টিম

মেডিকেল অফিসার

ইসিআর

অভ্যন্তরীণ অডিট প্রতিবছরে কমপক্ষে দুইবার

স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রতিবছরে একবার করতে হবে

নিয়ন্ত্রণ

– বায়ারের নিষিদ্ধ তালিকার বাইরে কেমিক্যাল ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে,কেমিক্যালের ব্যবহার, নিয়ন্ত্রণ, কারখানার কোথাও কোন নিষিদ্ধ কেমিক্যাল ব্যবহারের কার্যক্রম পরিচালিত হলে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তদন্ত করে প্রতিবেদন তৈরী করতে হবে।,

-সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীদের/ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে এর ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে অবহিতকরণ, সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাসিক, সাপ্তাহিক ও দৈনন্দিন মিটিং, ফ্লোর মনিটরিং, সচেতনতামূলক সভা  করতে হবে।

– বায়ারের নিষিদ্ধ তালিকার বাইরে কেমিক্যাল ক্রয় করা হলে এর মূল কারণ বিশ্লেষণ  করতে হবে/  এ ধরনের ক্রয় কার্যক্রম কি কারণে হল তা বের করতে হবে।

– নিষিদ্ধ/ ক্ষতিকারক/ ঝুঁকিপূর্ন কেমিক্যাল যাতে ক্রয় করা না হয় সেজন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

ইন্টারনাল অডিটর/ দায়িতাবপ্রাপ্ত ইসিআর/ জিএম(এ্যাডমিন,এইচ আর এ্যান্ড কমপ্লাইন্স) অনিরাপদভাবে কেমিক্যাল ব্যবহৃত হলে মতামত প্রদান/ গ্রহণ পদ্ধতি অনুসরন করে দ্রæততম সময়ে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
নিয়ন্ত্রণ

– কারখানার অভ্যন্তরে নিষিদ্ধ/ ক্ষতিকারক/ ঝুঁকিপূর্ন কেমিক্যাল ক্রয়ের কারণগুলি  উৎঘাটন করতে হবে।

– একই সমস্যার পুনরাবৃত্তি বন্ধের বিষয়ে যে সকল প্রতিরোধক মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে তা নির্ধারণ করা।

– সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এক কথায় যখন যা করা প্রয়োজন তখন তা করার মাধ্যমে কারখানার অভ্যন্তরে নিষিদ্ধ কেমিক্যাল ক্রয় ও  ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করা হয়।

নিরাপদ কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যবৃন্দ । পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা  গ্রহণ করা হবে।
সংস্কার / উপসম এই নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যদি কোন সমস্যা পরিলক্ষিত হয় এবং যদি কেমিক্যালের নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত ব্যবহার সুনিশ্চিত করণার্থে ব্যবস্থা জোরদার করতে কোন পদ্ধতির পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংযোজন, বিয়োজনের প্রয়োজন হয় তাহলে আলোচনা সাপেক্ষে তাতে পরিবর্তন আনতে পারবে। নিরাপদ কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যবৃন্দ এবংব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে।

৫.০ ইমপ্লিমেনটেশন ও কম্যুনিকেশনঃ

এই নীতিমালা প্রণয়ন, যোগাযোগ ও বাস্তবায়নের কর্মপ্রনালী রুটিন ও প্রসিডিউর অংশে আলোচিত হয়েছে।

৬.০ ফিডব্যাক ও কন্ট্রোল:

৪.৩ অনুচ্ছেদে আলোচ্য বিষয়ের মাধ্যমে কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম) কর্তৃপক্ষ ফিডব্যাক অংশটি নিশ্চিত করে।

৭.০ পরিশিষ্ট:

কারখানার সকলে এই নীতিমালা অনুযায়ী কেমিক্যাল ক্রয় করছে কিনা, বায়ারের কেমিক্যাল ক্রয়ের নির্দেশিকা অনুসরন করা হচ্ছে কিনা, স্টোরেজ পদ্ধতি ঠিকমত হচ্ছে কিনা, আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি ব্যবহার হচ্ছে কিনা, কেমিক্যাল ড্রামে যথাযথ লেবেলিং আছে কিনা এবং শূন্য ড্রাম ইটিপির মাধ্যম হয়ে সংরক্ষিত হচ্ছে কিনা এবং সর্বোপরি কারখানার অভ্যন্তরে নিষিদ্ধ/ ক্ষতিকারক/ ঝুঁকিপূর্ন কেমিক্যাল ক্রয় যাতে না হয় সেটি নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য ও অঙ্গীকার।

Chemical Management Policy ” নিম্ন বাটনে ক্লিক করে  ডাউনলোড করে নিন।

Chemical Management Policy ” 

আরও নতুন পোস্ট

About The Author

Rakib Sarowar

Rakib Sarowar is the founder and lead author of the Compliance Bangladesh. His passion for helping people in all aspectes of Compliance Related Issues. He is very keen to learn new things, especially Technology. In addition to write for CB, Rakib also engage as a Deputy Manager- Compiance & Industrial Safety in a multinational RMG complany.

Leave a Reply

আমাদের সাথে থাকুন

error: Content is protected !!