Breast Feeding Policy | Bangla | Download | Post No-20 |

Breast Feeding Policy | Bangla | Download |

কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম) কর্তৃপক্ষ কারখানায় মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর নীতিমালা প্রনয়ন করছে। এই নীতিমালা কারখানার সকল মহিলা শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের জন্য প্রযোজ্য। কর্মরত মায়েদের বুকের দুধ শিশুকে খাওয়ানো এবং মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করাই এই নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য।

পদ্ধতিঃ নিম্নলিখিত ৭ (সাত) টি মানদন্ড বাস্তবায়নের মাধ্যমে কারখানা কর্তৃপক্ষ মাতৃদুগ্ধ খাওয়ার নীতিমালা অনুসরণ করতে বদ্ধপরিকর।

১। মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর স্থান:
শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য কারখানার অভ্যন্তরে একটি আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা করা।

• প্রয়োজনীয় টেবিল, পর্দা এবং সচেতনতামূলক পোষ্টার সরবরাহ করা।
• কক্ষটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং যথাযথ বায়ু চলাচল নিশ্চিত করা।
• রুমের মধ্যে আরামদায়ক চেয়ার প্রদান করা।
• হাত ধৌত করার জন্য বেসিন ও সাবানের ব্যবস্থা রাখা।
• দুধ সংরক্ষণের জন্য রুমের মধ্যে কেবিনেট, রেফ্রিজারেটর নিশ্চিত করা।
• দুধের পাত্র লেবেলিং করার জন্য ষ্টিকার/কলম রাখা।
• বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করা।
• সংরক্ষিত দুধ গরম করার ব্যবস্থা রাখা।

২। মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় :
শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য কর্ম বিরতি প্রদান করা।

• প্রতিদিন দুই বার কর্মবিরতি দেয়া।
• প্রতিবার ৩০ (ত্রিশ) মিনিট করে মোট ১ (এক) ঘন্টা নির্ধারন করা। ইহা দুপুরের খাবার ও বিশ্রামের সময় ব্যতীত।

৩। শিশু কেন্দ্র :

• শিশুকে রাখার জন্য কারখানার অভ্যন্তরে শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র নিশ্চিত করা।
• শিশু কক্ষটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও যথাযথভাবে বায়ু চলাচল নিশ্চিত করা।
• শিশু কক্ষটি কোলাহলমুক্ত রাখা।
• শিশুর জন্য পর্যাপ্ত দুধ ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ করা।
• শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী খাট, তোয়ালে নিশ্চিত করা।
• টয়লেট, ওয়াশরুম, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, পানি গরম এবং খাবার গরম করার ব্যবস্থা করা।
• শিশুদের খেলার জন্য একটি প্লে-গ্রাউন্ড তৈরি করা।
• খেলাধুলার জন্য দোলনা, প্রয়োজনীয় খেলনা সামগ্রী নিশ্চিত করা।
• জন্মের পর থেকে ৬ বৎসর পর্যন্ত শিশুকে শিশু কেন্দ্রে রাখার সুযোগ নিশ্চিত করা।
• শিশুদের রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য পরিচর্যা কর্মী নিযুক্ত করা।

৪। বেতনসহ মাতৃত্ব ছুটি সুবিধা:

বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ অনুযায়ী প্রত্যেক প্রসুতি শ্রমিককে মাতৃত্বকালীণ ছুটি দেয়া। সন্তান প্রসবের আগে ৮ সপ্তাহ ও সন্তান প্রসবের পরে ৮ সপ্তাহ মোট ১৬ সপ্তাহ ছুটি দেয়া। আইন অনুযায়ী দুই কিস্তিতে সুবিধা প্রদান করা। দুই জন সন্তান জীবিত পর্যন্ত এই সুবিধা অধিকারী হওয়া।

৫। নগদ ও মেডিক্যাল সুবিধা:

• গর্ভবতী মায়েদের প্রি-নেটাল (জন্ম পূর্ববর্তী) ও পোষ্ট-নেটাল (জন্ম পরবর্তী) চেক আপ করা।
• রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষন করা।
• প্রয়োজনীয় ঔষধ ফ্রি সরবরাহ করা।
• নিকটস্থ হাসপাতালের সাথে চুক্তিবদ্ধ করা।
• বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ডিসকাউন্ট সুবিধা রয়েছে। যেমন-প্যাথলজি পরীক্ষা- ৫০%, আলট্রাসনোগ্রাম- ৩০%, এক্সরে- ৩০%, ইসিজি- ৩০% ইত্যাদি।
• চিকিৎসা সেবার জন্য নির্ধারিত ফি এর অর্ধেক ধার্য করার সুযোগ রয়েছে।
• চুক্তিবদ্ধ হাসপাতাল থেকে এ্যাম্বুলেন্স সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।

৬। পেশাগত সুরক্ষা ও বৈষম্যহীনতা:

• কোনরূপ বৈষম্য না করা।
• ছুটি থেকে আসার পর স্ব-স্ব পদে/গ্রেডে তাদের কাজ করতে দেয়া।
• প্রেগনেন্ট/মাতৃত্বকালীণ ছুটিতে থাকা কোন শ্রমিককে জোরপূর্বক চাকুরিচ্যুত না করা।
• পেশাগত সুরক্ষা সম্পর্কে নুতন ও পুরাতন মায়েদের সচেতনতামুলক প্রশিক্ষণ প্রদান।
• প্রয়োজনীয় পিপিই নিশ্চিত করা।
• পেশাগত সুরক্ষার জন্য প্রেগন্যান্ট কর্মীদের দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে কাজ করার পরিবর্তে বসার জন্য আরামদায়ক চেয়ার প্রদান করা।

৭। নিরাপদ কাজ বিধান:

• ভারী বা বিপদজনক কাজ না দেয়া।
• কেমিক্যালে সংশ্লিষ্ট কোন কাজ না দেয়া।যেখানে কেমিক্যাল রয়েছে সেই সেকশন থেকে অন্য সেকশনে কাজ দেয়া।
• নিরাপত্তার জন্য লাঞ্চের ৫ মিনিট পূর্বে এবং ছুটির ৫ মিনিট পূর্বে কর্মস্থল ত্যাগ করতে সুযোগ দেয়া।
• নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা।

” Breast Feeding Policy ” নিম্ন বাটনে ক্লিক করে  ডাউনলোড করে নিন।

” Breast Feeding Policy ” 

আরও নতুন পোস্ট