HR Policy | Policy No 22
কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম) বিশ্বাস করেন যে, একটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নির্ভর করে কারখানায় কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের প্রতি নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, মমতা ও কাজ সম্পন্ন করার দক্ষতার উপর। এই প্রচেষ্টাকে সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুচারুরূপে পালন করার জন্য প্রয়োজন হয় একটি মানব সম্পদ নীতিমালার। সুনির্দিষ্ট নিয়ম নীতি ও উদ্যমী উন্নত কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে মানব সম্পদ নীতিমালা কোম্পানীর একটি গুরুত্বপূর্ন দলিল। এই মানব সম্পদ নীতিমালা তৈরী হয় দেশের প্রচলিত শ্রম আইন ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আই.এল.ও) রীতিনীতির ভিত্তিতে এবং এর মাধ্যমে মালিক ও নিয়োগীর মধ্যে সু-সম্পর্ক বজায় রাখে। বাংলাদেশ শ্রম আইন এবং আন্তজার্তিক শ্রম সংস্থার (আই. এল. ও) মোতাবেক কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম) “মানবসম্পদ নীতিমালা এবং পদ্ধতি” তৈরী করেছে।
উদ্দেশ্য:
“কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম)” আন্তজার্তিক ব্যবসায়িক মানদন্ড বজায় রেখে ব্যবসায় কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। মানবসম্পদ নীতিমালা এবং পদ্ধতি তৈরী করা এবং তার প্রতিফলনের মাধ্যমে কারখানায় কর্মরত সকল শ্রমিক, কর্মচারী, এবং কর্মকর্তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং কারখানার সার্বিক উন্নয়ন সাধনই এর মূল লক্ষ এবং উদ্দেশ্য।
আমাদের উদ্দেশ্য:
ক। শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
খ। দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে তোলা এবং তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত।
গ। সর্বোৎকৃষ্ট মানের পণ্য সামগ্রী উৎপাদন ও ক্রেতার চাহিদা পূরন।
ঘ। শতভাগ সরবরাহ যথা সময়ে নিশ্চিতকরন।
ঙ। শতভাগ কোয়ালিটি প্রথম বারেই নিশ্চিতকরন।
চ। শতভাগ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা।
ছ। শত ভাগ সম্পদের ব্যবহার নিশ্চিত করা।
জ। ১৮ বছরের নিচে কোন শ্রমিক নিয়োগ না দেওয়া।
ঝ। গর্ভাবস্থার ধারণা পাওয়া যেতে পারে এমন কোন প্রশ্ন তাকে না করা।
প্রত্যাশা:
কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম) ক্রেতার পূর্ণ সন্তুষ্টি বিধানের লক্ষ্যে ব্যবসায়িক নৈতিকতা অনুসরণ, সর্বোৎকৃষ্ট পণ্য উৎপাদন এবং সঠিক মান নিয়ন্ত্রণ ও সঠিক সময়ে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে সামাজিক দায়বদ্ধতা, শ্রমিক কর্মচারী, কর্মকর্তাদের জীবনযাত্রা উন্নয়নের মাধ্যমে কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম) হতে চায় একটি বিশ্বস্ত ও বিশ্বমানের অন্যতম গার্মেন্টস পন্য প্রস্তুতকারক একটি প্রতিষ্ঠান।
অঙ্গীকার:
সকল কাজে উৎকর্ষতা, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নতুনত্বের প্রবর্তন ও নিরবিচ্ছিন্ন উন্নতির জন্য নতুন কর্মদ্যোগ গ্রহণ করে ক্রেতার সন্তুষ্টি বিধানের নিমিত্তে সর্বোৎকৃষ্ট পণ্য উৎপাদন ও মান নিয়ন্ত্রন এবং সঠিকসময়ে পণ্য সরবরাহ করতে কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম) অঙ্গীকারাবদ্ধ।
নীতি সমূহ:
ক) সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক এবং ক্রেতা/ ভোক্তা ও সরবরাহকারীর সঙ্গে মমতা, আন্তরিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে যথাযথ আচরণ করা ।
খ) দূর্নীতি যখন যেখানেই সংগঠিত হয় তা প্রতিরোধ করা।
গ) প্রত্যেকের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া ও অন্যকে অবদান রাখতে সহযোগীতা করা।
ঘ) প্রত্যেকের জন্য সমসুযোগ নিশ্চিত করা ও সকল ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ প্রতিরোধ করা।
ঙ) সর্বদা প্রাপ্ত সম্পদের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করা।
প্রত্যাশা পুরনে ও অঙ্গীকার রক্ষায় গৃহিত উদ্যোগ:
ক) সকল কাজে উৎকর্ষতা অর্জনের জন্য সকল স্তরে মেধাবী ও দক্ষ লোক নিয়োগ করা।
খ) সঠিক কর্মপদ্ধতি, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা।
গ) প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, উন্নত পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সেবা, প্রতিযোগীতামূলক কর্ম পরিকল্পনা, মেধা ও দক্ষতার মূল্যায়ন নিশ্চিত করা।
ঘ) দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আধুনিক পদ্ধতির প্রবর্তন, প্রশিক্ষন এবং কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের অনুপ্রাণিত করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ঙ) গুনগত মান বৃদ্ধির জন্য নিরবিচ্ছিন্ন গবেষনা কাজ চালিয়ে যাওয়া এবং সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকের অন্তর্নিহিত শক্তি বিকাশের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
চ) সামাজিক দায়বদ্ধতার নিয়ম প্রতিপালন করা।
নিয়োগ পদ্ধতি:
কর্তৃপক্ষ সকল প্রকার জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস,গোত্র, লিঙ্গ নির্বিশেষে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে। নতুন লোক বাছাই ও নিয়োগের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ নিম্নলিখিত পদ্ধতি সমূহ অনুসরণ করে থাকে।
- শূন্য পদে নিয়োগের জন্য অন লাইন, নোটিশ বোর্ডে বা পোষ্টারের মাধ্যমে এবং পত্রিকার মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়।
- নতুন শ্রমিক বাছাই করার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ নিয়োগ কমিটি গঠন করা হয়।
- নতুন শ্রমিক বাছাই বা নিয়োগের ক্ষেত্রে অত্র কোম্পানীতে কর্মরত কোন লোক বা বাছাই কমিটির লোকজন বা বাহিরের কোন লোক যাতে কোন চাকুরী প্রার্থীর কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা পয়সা বা চাঁদা না নিতে পারে কর্তৃপক্ষ তা সম্পূর্ণ নিশ্চিত করে থাকেন।
- প্রার্থীকে আবেদন পত্রের সংগে নিম্নে উল্লেখিত কাগজ পত্র অবশ্যই সংযুক্ত করতে হবেঃ
(ক) পূর্ণ জীবন বৃত্তান্ত সহ পাসপোর্ট সাইজের ০৬ (তিন) কপি রঙ্গীন ছবি।
(খ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/ সিটি কর্পোরেশন অথবা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত বয়স সংক্রান্ত/ নাগরিকত্ব সনদপত্র। চাকুরী পার্থীর বয়স ১৮ (আঠার) বছরের নীচে হলে, উক্ত ব্যক্তি স্বাভাবিক নিয়মেই নিয়োগ প্রাপ্তিতে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
গ) নমিনীর এককপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং জন্ম নিবন্ধন বা পরিচয় পত্রের এককপি ফটোকপি।
(ঘ) শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র এবং অভিজ্ঞতার সনদপত্র (যদি থাকে)।
- শ্রমিদের সাধারণতঃ তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করে নিয়োগ করা হয়।
(ক) দক্ষ শ্রমিক।
(খ) অর্ধদক্ষ শ্রমিক।
(গ) অদক্ষ (শিক্ষানবিশ) শ্রমিক।
- দক্ষ ও অর্ধদক্ষ শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষা, দক্ষতা, ও অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে আবেদনপত্র বাছাই করা হয়।
- বাছাইকৃত শ্রমিকদেরকে সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠিয়ে বাস্তব কাজের পরীক্ষার মাধ্যমে তার দক্ষতার মূল্যায়ন করা হয় এবং মূল্যায়ন ফরম পূরণ করে তা সংগ্রহ করা হয়।
- দক্ষতা এবং ইন্টারভিউ পর্যালোচনা করে প্রাথমিকভাবে যোগ্য ব্যক্তি নির্বাচন করা হয়।
- শ্রমিক নিয়েগের ক্ষেত্রে শারীরিক যোগ্যতা ও বয়স যাচাইয়ের জন্য দেশের প্রচলিত শ্রম আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত শ্রমিকদেরকে কারখানায় ডক্তারের নিকট মেডিক্যাল চেকআপ এবং বয়স নির্ণয়ের জন্য পাঠানো হয়।
- চূড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদেরকে বেতন ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধাদির বিস্তারিত বিবরণ সহ নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়।
অদক্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ পদ্ধতি:
- অদক্ষ শ্রমিকদেরকে শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে আবেন পত্র বাছাই করা হয়।
- বাছাইকৃত প্রার্থীদের ইন্টারভিউ ও আই.কিউ. চেক এর মাধ্যমে প্রাথমিক ভাবে নির্বাচন করা হয়।
- শারীরিক যোগ্যতা ও বয়স যাচায়ের জন্য দেশের প্রচলিত আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত শ্রমিকদেরকে কারখানায় ডাক্তারের নিকট মেডিক্যাল চেকআপ এবং বয়স নির্ণয়ের জন্য পাঠানো হয়।
- নির্বাচিত প্রার্থীদেরকে বেতন ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধাদির বিস্তারিত বিবরণ সহ নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়।
- নিয়োগ পত্র প্রদানের পর দক্ষ ও অদক্ষ সকল শ্রমিকের জন্যই একটি সংক্ষিপ্ত ওরিয়েন্টেশন বা পরিচিতিমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে ন্যায্য শ্রম নীতি, ক্রেতার আচরন বিধি, কোম্পানীর নিয়ম কানুন বিশদভাবে আলোচনা করা হয় এবং মানব সম্পদ নীতিমালা হ্যান্ডবুকের একটি কপি প্রদান করা হয়।
- কোম্পানী শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিকদের নিয়োগ করে, ১৮বৎসরের কম বয়সী কোন শ্রমিককে নিয়োগ করে না ।
- কোম্পানী কখনো বাধ্যতামূলক শ্রম ব্যবহার করেনা এবং কাউকে এমন কোন শ্রমে নিয়োজিত থাকতে বাধ্য করেনা, যা সে সেচ্ছায় নিবেদন করেনি।
- কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । com (গ্রুপের নাম) অব ইন্ডাষ্ট্রিজ সমসুযোগ প্রদান নিয়োগদাতা হবেন এবং নিয়োগ ও অন্যান্য কার্যাবলী নিরপেক্ষ নীতির ভিত্তিতে পরিচালিত করবে।
- নিয়োগ প্রদান প্রার্থীর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ, প্রদর্শিত দক্ষতা ও সক্ষমতা, বয়সের সপক্ষে সনদপত্র, সুস্থ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এর ভিত্তিতে করা হয়।
- বেতন, পদোন্নতি, পুরস্কার, নিয়ম শৃংখলা ও চাকুরীচ্যুতি সম্পূর্ণরূপে কাজের মূল্যায়ন ও যোগ্যতার ভিত্তিতে হবে।
- সর্বোৎকৃষ্ট মানব সম্পদ নিয়োগে কোম্পানী সর্বদা সচেষ্ট থাকবে যা এ দেশে সহজলভ্য/প্রাপ্য।
- নিয়েগের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচিত প্রার্থীকে তার পরিচয় পত্র প্রদান করা হবে।
শিক্ষানবিশকাল:
- শুরুতে একজন কর্মী শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজে যোগদান করবেন। শিক্ষানবিশকাল তিন মাস এবং প্রয়োজনে আরো তিন মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে। কেরানী-সংক্রান্ত কাজে নিযুক্ত কোন শ্রমিকের শিক্ষানবীশকাল কাল ছয় মাস হবে।
- শিক্ষানবিশকালে কোন কর্মী এবং কোম্পানী, উভয় পক্ষই যে কোন সময় চাকুরী হইতে ইস্তফা দিতে পারেন। ।
- তিন/ ছয় মাসের শিক্ষানবিশকালের মধ্যে ও যদি প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে ব্যর্থ হয়, তাহলে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে কর্মীর চাকুরী হইতে ইস্তফা প্রদান করতে পারবেন ।
- প্রত্যেক কর্মীর দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ তার চাকুরী তিন/ ছয় মাস পূর্ণ হলে স্থায়ী হবেন।
- সাফল্যজনকভাবে শিক্ষানবিশকাল শেষ হওয়ার পর শিক্ষানবিশকালের সময়কাল সামগ্রীক চাকুরীর সময়কাল হিসেবে গনণা শুরু হবে
- নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের করণীয় বিষয় সমূহঃ
নির্বাচিত প্রার্থী সকাল ৮.০০ ঘটিকার পূর্বে নিয়োগপত্রে উল্লখিত নির্দিষ্ট তারিখে অবশ্যই কোম্পানীর মানব সম্পদ বিভাগে উপস্থিত হবেন।
- মানব সম্পদ বিভাগে উপস্থিত হওয়ার পরে কর্মীদের নিম্ন লিখিত বিষয় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতি দেওয়া হবেঃ
(ক) কারখানার নিয়ম-কানুনসমূহ।
(ক) নিয়োগ পত্রে উল্লেখিত বিষয়গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাদি সমুহ।
(গ) নিয়োগ সম্পর্কিত নিয়ম নীতি, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে।
(ঘ) শৌচাগার, ক্যান্টিন, অগ্নি নির্গমন পথ, মেডিক্যাল সেন্টার, ইত্যাদি সহ কারখানার অবস্থান ঘুরিয়ে দেখানো।
(ঙ) পরিচিতির পর প্রত্যেক কর্মীকে মানব সম্পদ বিভাগ হতে নিম্ন লিখিত জিনিস পত্রাদি প্রদান করা হবেঃ
- বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত কর্মী সহায়িকা।
- পরিচয় পত্র।
- পি.পি. ই সংক্রান্ত বিষয় ইত্যাদি ।
(চ) উপরোল্লেখিত জিনিসপত্র কর্মীকে নিজ নিজ দায়িত্বে রক্ষনাবেক্ষন এবং নিরাপদে সংরক্ষন করতে হবে।
(ছ) কর্মী ইনডাকশন বা পরিচিতিমূলক অনুষ্ঠানের পর নিজ নিজ বিভাগে উপস্থিত হবেন ।
- কোম্পানীর নিয়ম শৃংখলা মেনে চলা।
- অফিসে/ কারখানায় ধুমপান সম্পূর্ণরূপে নিষেধ। এছাড়া টয়লেট বা বাথরুমেও ধুমপান করা যাবে না।
- প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মীদের জিজ্ঞাসা বা তল্লাশি কাজে সহায়তা করতে হবে।
- যে যন্ত্রে বা মেশিনে আপনাকে নিয়োজিত করা হবে সে মেশিনের সঠিক ব্যবহার ও নিজের নিরাপত্তার বিষয় গুলি নিজ দায়িত্বে প্রারম্ভেই সরাসরি নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার নিকট হইতে অবশ্যই অবহিত হইবেন।
- কোন অসুবিধা, অভিযোগ বা চাহিদা নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে সমাধান না হলে ফ্লোরে কর্তব্যরত ইনচার্জ / কর্মকর্তার মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে হবে।
- কোন অভিযোগ ও পরামর্শ থাকলে তা অফিস/কারখানা টয়লেটে রক্ষিত অভিযোগ লিখিত ভাবে জমা দিয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারবেন। এছাড়া,
- যে কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক অত্র কোম্পানীর মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয় বরাবরে মোবাইলে সরাসরি ফোন করে তার কোন অভিযোগ ও পরামর্শ থাকলে তা জানাতে পারবেন।
কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের দায়িত্ব:
- সঠিক সময়ে কাজে উপস্থিত হওয়া ।
- উৎপাদন প্রক্রিয়ায় পুর্নভাবে অংশ গ্রহণ ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ।
- বিনা অনুমতিতে কাজে অনুপস্থিত না থাকা ।
- পরিস্কার পরিচ্ছনতা বজায় রাখা ।
- টয়লেট, কমোড এবং বেসিন ব্যবহারে যত্নবান হওয়া এবং এগুলো পরিস্কার রাখা যাতে পরের জন বিনা অসুবিধায় ব্যবহার করতে পারে ।
- কেন্টিনে খাবার সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্নভাবে খাবার গ্রহণ এবং কোম্পানীর আসবাবপত্রের ক্ষতি না করা।
- সুপারভাজার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আইনানুগ আদেশ নির্দেশ মান্য করা ।
- পরিচয় পত্র এবং প্রয়োজনীয় পি.পি.ই ব্যবহার করা ।
- প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কাজ শেষে সুপারভাইজারের কাছে জমা দিবেন ।
- সিজার,ববিন কেইচ, সুতার ববিন, নিডেল বা অন্য কোন দ্রব্যাদি কারখানা থেকে অপসারন না করা ।
- কাজ চলাকালীন সময়ে এক লাইন থেকে অন্য লাইনে না যাওয়া এবং অপ্রয়োজনী কথা না বলা ।
- সর্বোপরি কাজের প্রতি মনোযোগী হওয়া ।
মজুরী/বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদি সমূহ:
মজুরী ও সুবিধাদি দেশের প্রচলিত আইন ও বি.জি.এম.ই.এ গাইড লাইন মোতাবেক সিদ্বান্ত নেওয়া হয়।
সর্বমোট বেতন/মজুরী =
মূল বেতন + বাড়ী ভাড়া (যা মূল বেতনের ৫০%) + চিকিৎসা ভাতা + খাদ্য ভাতা + যাতায়াত ভাতা একই সাথে মাসিক বেতন/ মজুরী হিসাবে প্রদান করা হয়।
ক. সর্বোনিম্ন মজুরী ৮০০০/- (আট হাজার) টাকা।
খ. শ্রমিকদের প্রত্যেক মাসের মজুরী এবং অতিরিক্ত কাজের মজুরী একই সাথে পরবর্তী মাসের ০৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রদান করা হয়।
গ. বেতন/মজুরী ও ভাতাদি প্রদানের পূর্বে প্রত্যেক শ্রমিককে বিস্তারিত মজুরীরর হিসাব লিপিবদ্ধ করে পে স্লিপ (মজুরী স্লিপ) প্রদান করা হয়।
ঘ. বেতন/মজুরী প্রদানের সময় প্রত্যেক শ্রমিকের ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।
ঙ. মাসের সকল কর্মদিবসে উপস্থিত থাকলে শ্রমিকদের হাজিরা বোনাস প্রদান করা হয়।
অতিরিক্ত কাজ ও কাজের মজুরী নির্ধারণ পদ্ধতি:
যেহেতু কোন শ্রমিক অতিরিক্ত কাজ করবে কি না তা সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত ব্যাপার, তাই কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করে যে, “যে কোন পরিস্থিতিতেই অতিরিক্ত কাজ শ্রমিকদের জন্য বাধ্যতামূলক নয় বরং ঐচ্ছিক” । মূলত কর্তৃপক্ষ দৈনিক ০৮ (আট) ঘন্টা হিসাবে উৎপাদন পরিকল্পনা প্রস্তুত করে থাকে। অনেক সময় বিভিন্ন অনাকাঙ্খিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ শ্রমিদের ইচ্ছার ভিত্তিতে দৈনিক সর্বোচ্চ ০২ (দুই) ঘন্টা অতিরিক্ত কাজ করার জন্য অনুরোধ করতে পারেন, তবে কোন শ্রমিকের মোট সাপ্তাহিক কার্যকাল সর্বোচ্চ ৬০ (ষাট) ঘন্টার অতিরিক্ত এবং বৎসরে গড়ে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৫৬ (ছাপ্পান্ন) ঘন্টার অতিরিক্ত করা হয় না। কারখানার কোন সেকশনে অতিরিক্ত কাজের শিডিউল থাকলে তা সর্বনিম্ন (২) দুই ঘন্টা পূর্বে পি.এ সিস্টেমের মাধ্যমে ঘোষনা করা হয়।
অতিরিক্ত কাজের জন্য শ্রমিকদের নিম্নোক্ত উপায়ে মজুরী প্রদান করা হয়ে থাকেঃ
নিম্নোক্ত হিসাব অনুযায়ী একজন শ্রমিক তার মূল বেতনের দ্বিগুণ হারে অতিরিক্ত কাজের মজুরী পেয়ে থাকেনঃ
অতিরিক্ত কাজের মজুরী = মূল বেতন x ২ x অতিরিক্ত কাজের সময়
২০৮
কাজের সময়সূচী ও হাজিরা লিপিবদ্ধ করণ:
ক. একজন শ্রমিক দৈনিক ০৮ (আট) ঘন্টা কাজ করে থাকেন এবং ০১ (এক) ঘন্টা মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতি ভোগ করতে পারেন।
খ. একজন শ্রমিক সপ্তাহে সর্বোচ্চ মোট ৬০ (৪৮ +১২) ঘন্টা কাজ করতে পারেন।
গ. কারখানার কার্য সময় সাধারণত: জেনারেল শিফট সকাল ৮.০০ ঘটিকা হইতে বিকাল ৫.০০ ঘটিকা পর্যন্ত ।
এখানে উল্লেখ্য যে, সাময়িক ভাবে রমজান মাস ও অন্য কোন বিশেষ সময়ে প্রয়োজন বোধে উল্লেখিত কার্য সময় কর্তৃপক্ষ ও কর্মীদের সম্মতিক্রমে পুণঃনির্ধারণ করা যাবে।
ঘ. প্রত্যেক শ্রমিকের প্রতিদিনের হাজিরা ও অতিরিক্ত সময় তাদের নিজস্ব ফেস পাঞ্চের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়।
কাজের সময়সূচী ও হাজিরা লিপিবদ্ধ করণ:
ক. একজন শ্রমিক দৈনিক ০৮ (আট) ঘন্টা কাজ করে থাকেন এবং ০১ (এক) ঘন্টা মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতি ভোগ করতে পারেন।
খ. একজন শ্রমিক সপ্তাহে সর্বোচ্চ মোট ৬০ (৪৮ +১২) ঘন্টা কাজ করতে পারেন।
গ. কারখানার কার্য সময় সাধারণত: জেনারেল শিফট সকাল ৮.০০ ঘটিকা হইতে বিকাল ৫.০০ ঘটিকা পর্যন্ত ।
এখানে উল্লেখ্য যে, সাময়িক ভাবে রমজান মাস ও অন্য কোন বিশেষ সময়ে প্রয়োজন বোধে উল্লেখিত কার্য সময় কর্তৃপক্ষ ও কর্মীদের সম্মতিক্রমে পুণঃনির্ধারণ করা যাবে।
ঘ. প্রত্যেক শ্রমিকের প্রতিদিনের হাজিরা ও অতিরিক্ত সময় তাদের নিজস্ব ফেস পাঞ্চের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়।
মোট কর্মদিবস ও সাপ্তাহিক ছুটি:
শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তার স্বাভাবিক কর্মদিবস সপ্তাহে মোট ০৬ দিন, শনিবার হতে বৃহষ্পতিবার, অত্র কারখানার শ্রমিক কর্মচারী সাপ্তাহিক ছুটি চক্রাকারে ভোগ করে থাকেন।
ছুটি ও ছুটির নীতিমালা সমূহ :
২০০৬ ইং সালের শ্রম ও শিল্প আইন মোতাবেক কারখানায় কর্মরত সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকগণ প্রতি ইংরেজী ক্যালেন্ডার বৎসরের হিসাব অনুযায়ী প্রতি বৎসর নিম্নোক্ত ছুটি ভোগ করে থাকেন। যার বিস্তারিত বিবরণ নিম্ন প্রদত্ত হলোঃ
(ক) পর্ব / উৎসব ছুটিঃ
প্রত্যেক কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক পর্ব উপলক্ষে প্রতি বৎসরে নূন্যতম ১১ দিন উৎসব ছুটি ভোগ করার অধিকার রাখেন। কিন্তু কোম্পানীর প্রচলিত বিধি মোতাবেক নিম্নোক্ত উৎসব ছুটি ভোগ করে থাকেনঃ
বাৎসরিক/ উৎসব জনিত ছুটি মোট = ১১ দিন
ক) একুশে ফেরুয়ারী – ০১ দিন।
খ) ২৬ শে মার্চ – ০১ দিন।
গ) ঈদ-উল-ফিতর – ০৩ দিন।
ঘ) ঈদ-উল-আযহা – ০৩ দিন।
ঙ) শব-ই-বরাত – ০১ দিন।
চ) ১লা মে – ০১ দিন।
ছ) ১৬ ই ডিসেম্বর – ০১ দিন।
(খ) নৈমিত্তিক ছুটি:
কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম) এ কর্মরত সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক প্রতি পঞ্জিকা বৎসরে ১০ দিন পূর্ণ বেতনে/ মজুরী সহ নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করে থাকেন। শ্রমিক কর্মীদের নৈমিত্তিক ছুটি জমা রেখে পরবর্তী বৎসরে ভোগ করা যাবে না, তা তামাদি হয়ে যাবে।
(গ) অসুস্থতা জনিত ছুটি:
কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম) এর কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক বছরে পূর্ণ বেতন/মজুরীতে ১৪ (চৌদ্দ) দিন পূর্ন বেতন/ মজুরীতে অসুস্থতা জনিত ছুটি ভোগ করতে পারবেন। কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের ক্ষেত্রে অসুস্থতা জনিত ছুটির মেয়াদ ০২ (দুই) দিনের অতিরিক্তের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের সনদপত্র ছুটির আবেদন পত্রের সাথে দাখিল করতে হবে। অসুস্থতা জনিত ছুটি জমা রেখে পরবর্তী বছরে ভোগ করা যাবে না এবং এর পরিবর্তে কোন আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয় না।
(ঘ) অর্জিত ছুটি:
অত্র কারখানায় কর্মরত সকল কর্মকর্তা,কর্মচারী ও শ্রমিক পূর্ণ এক বৎসর কাজ করার পর পূর্ববর্তী বার মাসের জন্য প্রতি ১৮ কার্যদিবসে ০১ (এক) দিন হারে পরবর্তী বৎসরের যে কোন সময়ে বেতন/মজুরী সহ ছুটি ভোগ করতে পারবেন। অর্জিত ছুটি সঞ্চয় করে পরবর্তী বৎসরে নেওয়া যাবে এবং কর্মী ও কোম্পানীর স্বার্থে নগদীকরনও করা যাবে। যে কোন কর্মকর্তা, কর্মচারী বা শ্রমিক অর্জিত ছুটি ভোগ না করতে চাইলে উক্ত ছুটি পরবর্তী বৎসরের ছুটির সাথে জমা করতে পারবেন, কিন্তু তা ৪০ দিনের বেশী জমা করা যাবেনা তবে আবেদনকৃত অর্জিত ছুটি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হলে উক্ত প্রত্যাখ্যাত ছুটি ৪০ দিনের অতিরিক্ত হিসাবে যোগ হবে। প্রত্যেক কর্মচারী ও শ্রমিকের ক্ষেত্রেই এই ছুটির হিসাব তার কাজে যোগদানের তারিখ হতে বিবেচিত হলেও এক বৎসর পূর্ণ হওয়ার পর তা কার্যকর হবে। এই ছুটি একত্রে বা প্রয়োজনে ভেঙ্গে ছুটি ভোগ করতে পারবেন। এখানে উল্লেখ্য যে, কোম্পানীর প্রচলিত বিধি মোতাবেক প্রতি বৎসরের জন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জমাকৃত ছুটির অর্ধেক ছুটি নগদিকরন করা যাবে।
প্রসূতি কল্যাণ ছুটি:
কোন মহিলা শ্রমিকের চাকুরীর বয়স অবিচ্ছিন্নভাবে (ছয়) ৬ মাস পূর্ণ হয়, তাহেল সেই মহিলা শ্রমিক প্রসূতি কল্যাণ ছুটি পাইবার অধিকারী হবে। প্রসূতি কল্যাণ ছুটি মোট ১৬ সপ্তাহ বা ১১২ দিন। উক্ত ছুটির টাকা দুই পর্বে ভাগ করে সন্তান প্রসবের তারিখ হইতে দুইমাস পূর্বে ছুটিতে যাওয়ার আগে প্রথম পর্বের আট সপ্তাহ বা ৫৬ দিনের মজুরী প্রদান করা হয় এবং পরবর্তী ৮ (আট) সপ্তাহের মজুরীর সমপরিমাণ টাকা ছুটি থেকে আসার পরবর্তী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রদান করা হয়। তবে এক্ষেত্রে সন্তান জন্মনিবন্ধন বা টিকা প্রদানের কার্ডে ফটোকপি জমা দিতে হবে। কোন শ্রমিকের দুইটি বাচ্ছার অধিক সন্তান থাকলে সেই শ্রমিক কোন মার্তৃত্বকালীন ছুটির আর্থিক সুবিধা পাবে না। তবে উক্ত সময়ের জন্য অসুস্থতার ছুটি, অর্জিত ছুটি থেকে সমন্বয় করার পর অবশিষ্ট বিনা মজুরীতে ছুটি নিতে পারবেন। যদি কোন শ্রমিকরে কোন দুইটি সন্তানের মধ্যে থেকে কোন সন্তান মারা যায়, তাহলে পরবর্তীতে ঐ শ্রমিক পূনরায় সন্তান নিলে সকল সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। উক্ত ১১২ দিনের জন্য প্রাপ্য মজুরী হিসাব করার পদ্ধতি নিম্নরূপঃ
১১২ দিনের জন্য প্রাপ্ত মজুরী =
মাতৃত্বকালীন ছুটি সংক্রান্ত নোটিশ প্রদানের পূর্ববর্তী ০৩ মাসের মোট প্রকৃত অর্জিত মজুরী x ১১২ দিন শ্রমিকের পূর্ববর্তী ০৩ মাসের মোট প্রকৃত কর্ম দিবস
শ্রমিক কর্তৃক অভিযোগ/ উত্থাপনের বিভিন্ন পদ্ধতি তথা অসন্তোাষ নিরসন প্রক্রিয়া:
কর্মক্ষেত্রে অসন্তুষ্টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরে আনার জন্য একটি সুষ্পষ্ট অভিযোগ উত্থাপন ও নিরসন সংক্রান্ত নীতিমালা রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে অভিযোগ প্রকাশের উপায় না থাকলে অসন্তুষ্টি, হতাশা, উদাসীনতা ও নীতিবেধের অভাব দেখা দেয়। তাই যে কোন ধরনের অভিযোগ দ্রুত সমাধানের জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত ও কার্যকরী নীতিমালা। কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের সন্তুষ্টি নিশ্চিতকল্পে কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম) এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা মোতাবেক অভিযোগ নিরসন করে থাকেন। অভিযোগ নিরসনের জন্য একটি অভিযোগ নিরসন কমিটি রয়েছে এবং পর্যবেক্ষণ কমিটি রয়েছে।
অসদাচরণ:
কর্মক্ষেত্রে সংযত আচরণ এবং সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সুষ্ট ও সুন্দর ভাবে কাজের পরিবেশ রক্ষা করা “কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম) ” এর সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকের নৈতিক দায়িত্ব। অত্র প্রতিষ্ঠান আশা করেন যে, প্রত্যেক কর্মকর্তা, কর্মূচারী ও শ্রমিক তাদের সহকর্মী, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে যথাযোগ্য সম্মান ও ভদ্রতা সহকারে আচরণ করবে এবং কর্মক্ষেত্রে কোন প্রকার অসৎ, অনৈতিক, অপরাধ মূলক ও কোম্পানীর জন্য ক্ষতিকর কর্মকান্ডে নিজেকে কখনো জড়াবে না ।
কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম) বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬, শ্রমবিধিমালা ২০১৫ এবং সংশোধনী ২০১৮ অনুযায়ী অসদাচরণমূলক কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে বিচার ব্যবস্থা পরিচালনা করে থাকেন।
মালিক কর্তৃক চাকুরী হতে অবসান:
ক) কর্তৃপক্ষ কোন স্থায়ী শ্রমিকের চাকুরীর অবসান করার সময় শ্রমিককে ১২০ দিনের নোটিশ বা নোটিশের পরিবর্তে সম পরিমান দিনের বেতন এবং অস্থায়ী শ্রমিককে ৬০ দিনের নোটিশ বা সমপরিমান দিনের বেতন প্রদান করতে হবে।
খ) চাকুরী অবসানের সময় অর্জিত ছুটির টাকা এবং উক্ত শ্রমিকের মোট কর্ম দিনের বেতন প্রদান করতে হবে।
গ) প্রবেশনারী পিরিয়ডের আওতায় নিয়োজিত শ্রমিককে কর্মদক্ষতার উপর ভিত্তি করে ফ্যাক্টরীর যে কোন সময়ে চাকুরীর অবসান ঘটাতে পারেন এবং এমতাবস্থায় শ্রমিকের মোট কার্যদিবসের বেতন প্রদান করতে হবে।
ঘ) কোন শ্রমিককে চাকুরী হতে অবসানের কারণ যদি তার কর্মদক্ষতার অভাব, অসদাচারণ বা এমন কোন আচরণ হয় যা কোম্পানীর বিধি নিষেধ লঙ্ঘন করে,তবে তাকে চাকুরী হতে অবসানের পূর্বে সংশ্লিষ্ট কারণ জানিয়ে লিখিত নোটিশ প্রদান করিতে হবে এবং এ সকল ক্ষেত্রে নোটিশ প্রদান ব্যতিরেকে তাকে সরাসরি চাকুরী হতে অবসান করা যাবে না।
ঙ) এতদসংক্রান্ত বিষয়ে কর্তৃপক্ষ দেশের প্রচলিত আইনের বিস্তারিত বিধি অনুসরণ করে থাকেন।
চাকুরী হতে ডিসচার্জ:
দৈহিক বা মানসিক অক্ষমতার কারণে বা দীর্ঘ মেয়াদী অসুস্থতার কারনে কর্তৃপক্ষ কোন শ্রমিকে চাকুরী হতে অব্যহতি দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় সুবিধা পাবেন ।
চাকুরী হতে বরখাস্ত:
দেশের প্রচলিত সংশ্লিষ্ট শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী একজন শ্রমিক দোষী সাব্যস্ত হলে নিম্নবর্ণিত নিয়মের আওতায় চাকুরী হতে বরখাস্ত করা যাবেঃ
ক) প্রকৃত কর্ম দিনের বেতন ভাতা প্রদান।
খ) ৫ বৎসর থেকে ১০ বৎসরের কম পর্যন্ত কর্মকালীন সময়ের জন্য প্রতি বৎসরের জন্য ১৪ দিনের মূল বেতন প্রদান। চাকুরীর বয়স দশ বৎসরের বেশি হলে প্রতি বৎসরের জন্য ৩০দিনের মূজরী প্রদান করতে হবে।
গ) মোট প্রাপ্য অর্জিত ছুটির টাকা প্রদান।
ঙ) এতদসংক্রান্ত বিষয়ে কর্তৃপক্ষ দেশের প্রচলিত সংশ্লিষ্ট আইনের বিস্তারিত বিধিবিধান অনুসরণ করে থাকেন।
চাকুরী হতে ইস্তফা:
কোন স্থায়ী শ্রমিক/কর্মচারী চাকুরী থেকে পদত্যাগ করতে চাইলে তাকে ৬০ দিনের লিখিত নোটিশ প্রদান করতে হবে। নোটিশ প্রদানে ব্যর্থ হলে তাকে ৬০ দিনের মজূরী প্রদান করতে হবে এবং কোন অস্থায়ী শ্রমিক/কর্মচারী চাকুরী থেকে পদত্যাগ করতে চাইলে তাকে ৩০ দিনের লিখিত নোটিশ প্রদান করতে হবে। নোটিশ প্রদানে ব্যর্থ হলে তাকে ৩০ দিনের বেতন সমর্পন করতে হবে । এতদসংক্রান্ত বিষয়ের অন্যান্য যাবতীয় নিয়মাবলী কর্তৃপক্ষ দেশের প্রচলিত সংশ্লিষ্ট শ্রম আইন অনুসরণ করে থাকে।
পে-রোল পদ্ধতি:
কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম) ফেস স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে হাজিরা নিশ্চিত করে থাকে। প্রতিদিনের হাজিরা চেক করার জন্য টাইম সেকশন কাজ করে এবং হাজিরা নিশ্চিত করে থাকেন। মাস শেষে ফুল মাসের হাজিরা পূনরায় চেক করার পর বেতনের কাজ করা হয়। অত্র কারখানার বেতনের সমস্ত কার্যক্রম সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। শ্রমিকদের বেতন প্রদানের পূর্বেই তাদের কে পে-শ্লিপ বা মজুরী শ্লিপ প্রদান করা হয়।
উৎসব বোনাস:
“কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম)” সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক বৎসরে দুইটি উৎসব বোনাস পাবেন। চাকুরীর বয়স ১বৎসর পূর্ণ হলে মূল মজুরীর সমপরিমাণ টাকা উৎসব বোনাস প্রদান করা হয়। এছাড়া শ্রমিকদের চাকুরীর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে মুল মজুরীর অর্ধেক হারে উৎসব বোনাস প্রদান করে থাকেন।
হাজিরা বোনাস:
শ্রমিক কর্মচারীদের শত ভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত কল্পে তথা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সকল শ্রমিকদের ৫০০ (পাঁচশত টাকা) হারে হাজিরা বোনাস প্রদান করা হয়।
বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি:
শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতা যাচাই/কর্ম মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রতি বৎসর মেয়াদান্তে নূন্যতম ৫% হইতে ততোধিক হারে বেতন বৃদ্ধি করা হয়।
গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স:
““কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম)” কর্মরত সকল শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়োগের দিন হইতে বিজিএমইএ অনলাইন বায়োমেট্রিক সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে গ্রুপ ইন্স্যুরেন্সে নিশ্চিত করে থাকেন। গ্রুপ ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম কারখানার পক্ষ থেকে প্রদান করা হয়।
উপসংহার:
কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ .কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম) একটি গ্রুপ কোম্পানীর সহযোগী কারখানা। কারখানার যাবতীয় কার্যক্রম বাংলাদেশ শ্রম আইন এবং আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থা (আই.এল.ও) অনুযায়ী পরিচালিত হয়। তাই কারখানার মানবসম্পদ কার্যক্রম ও আন্তজার্তিক মানের।
” HR Policy ” নিম্ন বাটনে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিন।
আসুন একসাথে ভালো কিছু করি
আমাদের ফেসবুক গ্রুপ। আইকনে ক্লিক করুন জয়েন হতে ।
” HR Policy ”
আরও নতুন পোস্ট
Security Management Policy Download
security management policy | Bangla | Download | Policy No 39উদ্দেশ্যঃ নিরাপত্তা বা সিকিউরিটি একটি ফ্যাক্টরীর জন্য বিশেষ করে শিল্প কারখানার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পোষাক শিল্প ফ্যাক্টরীর নিরাপত্তা বলতে বুঝায় শ্রমিক/ কর্মচারী/ ভিজিটর বা পরিদর্শক আসা যাওয়ার...
Diciplinary action policy | Bangla | Download
Diciplinary action policy | Bangla | Download | Policy No 38ভ‚মিকাঃ কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ . কম । ComplianceBangladesh.com (কোম্পানীর নাম) এ কর্মরত সকল মানব সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা এবং যেকোন শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের প্রতি কোন ধরণের অন্যায়, অবিচার বা অমানবিক...
৩০ টি কমপ্লাইন্স নীতিমালা গার্মেন্টস/ কারখানার জন্য
৩০ টি কমপ্লাইন্স নীতিমালা গার্মেন্টস/ কারখানার জন্য1. Recruitment Policy: https://compliancebangladesh.com/recruitment-policy/ 2. Factory COC: https://compliancebangladesh.com/factory-code-of-conduct-coc-policy/ 3. Pregnancy test policy:...
Disclosure policy | Bangla | Download | Policy No 37
Let’s download Disclosure Policy which in bangla.
Brand Protection Policy | Bangla | Download | Policy # 36
Let’s download the brand protection policy in Bangla version. ব্র্যান্ড প্রটেকশন নীতি – আসুন ডাউনলোড করি।
Company CTPAT Security Policy | CTPAT Policy No 16
A factory should prepare CTPAT policy and do necessary action as per policy. Let’s download CTPAT Security Policy.
CCTV Camera Policy
A CCTV camera is very important to monitor security incident so a facility must develop a policy about this. Let’s download CCTV Camera Policy
Packing Area Security Policy | Bangla | Download
Packing Area is a Restricted Area. There are few steps need to taken for security. Lets download Packing area security policy.
Shipment Escort Policy | Bangla | Download
For handovering goods to buyer properly a shipment needs to escort. Let’s download Shipment Escort Policy.
Bolt Seal Policy | Bangla | Security Audit | Download
Bolt seal is use for container security. Let’s check its policy and download it.
Bangladesh Labour Law Amendment 2023 | PDF Download
Recently published, a amendment of Bangladesh labour law 2006. The actual date of this amendment is 29 October, 2023. Let’s download Bangladesh Labour Law Amendment 2023
Bangladesh Labour Law 2006 English Version | PDF Download
you can download bangladesh labour law 2006 english version in pdf format. Then lets visit.
Bangladesh Labour Rules Amendment 2022 | PDF Download
Recently published, a amendment of Bangladesh labour rules 2015. The actual date of this amendment is 25 August, 2022. Let’s download Bangladesh Labour Rules Amendment 2022
Earn Leave Calculation in Bangladesh
An employee if work 1 year in a company he will enlist to get earn leave. Let’s learn earn leave calculation in bangladesh.
Bangladesh Labour Law Amendment 2018 PDF | English
Bangladesh Labour Law Amendment 2018 PDF in English download
Recent Comments