Leave policy in bangladesh

সূচনা: কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ.কম (Compliance Bangladesh.com) (কোম্পানীর নাম) এর অন্তর্ভূক্ত সকল পোশাক শিল্প কারখানায় এ কর্মরত শ্রমিকেরা দেশের প্রচলিত শ্রম আইনের ভিত্তিতে ও প্রতিষ্ঠানের গৃহীত নীতি অনুসারে স্ববেতনে যে ছুটি গুলোর জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে সে গুলো হলঃ নৈমিত্তিক ছুটি, অসুস্থতাজনিত ছুটি, বার্ষিক ছুটি ও উৎসব ছুটি । কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ.কম (Compliance Bangladesh.com) (কোম্পানীর নাম) এর সকল প্রকার ছুটি সমূহ দেশের বিধিবদ্ধ শ্রম আইনের আলোকে নিশ্চিত করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ছুটি অনুমোদনকারীঃ

মানব সম্পদ/ কমপ্লায়েন্স/ ব্যবস্থাপক- প্রশাসন, বিভাগীয় প্রধানদের ছাড়া অন্যান্য সকলের ছুটি অনুমোদন করবেন। তবে সে ক্ষেত্রে, উক্ত বিভাগের নূন্যতম সুপারভাইজরের সুপারিশ দরকার হইতে পারে।

ছুটি নেয়ার পদ্ধতিঃ

  • ছুটি প্রার্থী ব্যক্তিকে কোম্পানীর নির্ধারিত ফরমে ছুটির জন্য আবেদন করতে হবে।
  • ছুটির আবেদনপত্র পূরন করে প্রথমে যার যার বিভাগের (সুপারভাইজরের) কাছে জমা দিতে হবে।
  • ছুটির সুপারিশ করে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রশাসন/ মানব সম্পদ বিভাগে পাঠাবেন ।
  • প্রশাসন/ মানব সম্পদ বিভাগ চূড়ান্ত অনুমোদনের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
  • বিশেষ কোন ছুটি কল্যান কর্মকর্তার বিশেষ সুপারিশের মাধ্যমেও হইতে পারে।

ছুটির প্রকারঃ

১) সাপ্তাহিক ছুটি ।
২) নৈমিত্তিক ছুটি ।
৩) অসুস্থতাজনিত ছুটি।
৪) অর্জিত ছুটি/ মজুরীসহ বার্ষিক ছুটি।
৫) পর্বজনিত/ উৎসব ছুটি।
৬) মাতৃত্বকালীন ছুটি।

সাপ্তাহিক ছুটিঃ

  • প্রত্যেক কর্মী সপ্তাহে ০১ (এক) দিন সাপ্তাহিক ছুটি ভোগ করবে।
  • জরুরী প্রয়োজনে কোন সাপ্তাহিক বা পর্বজনিত ছূটির দিনে কাজ করানো হলে আইনানুগ সময়কালের মধ্যে কোন একদিন ক্ষতিপূরণমূলক ছুটি প্রদান করতে হবে।

নৈমিত্তিক ছুটিঃ

  • প্রত্যেক কর্মী বছরে দশ দিন পূর্ণ বেতনসহ নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করতে পারবে। শর্ত থাকে যে,
    নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ না করলেও পরবর্তী বছরে এই ছুটি যোগ হবে না । অর্থাৎ এই বছরের ৩১ শে ডিসেম্বরের পর কারো এই ছুটি অবশিষ্ঠ থাকলে তা বাতিল হয়ে যাবে।
    ছুটিকালীন সময়ের সাথে যদি কোন সাপ্তাহিক ছুটি বা অন্য কোন পর্বজনিত ছুটি পড়ে তাহলে তা এই ছুটির সাথে যোগ হবে।
    নিয়োগ প্রাপ্তির পর থেকেই কর্মীরা এই ছুটি ভোগ করতে পারবে।

অসুস্থতাজনিত ছুটিঃ

  • প্রত্যেক কর্মী বছরে ১৪ (চৌদ্দ) দিন পূর্ণ বেতনসহ অসুস্থতা জনিত ছুটি ভোগ করতে পারবে।
  • এই ছুটি জমা রেখে পরবর্তী বছরে ভোগ করা যাবে না।
  • এক দিনের ছুটি হলে কোন রেজিষ্টাড ডাক্তরের সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে না।
  • ২ দিন অথবা এর বেশী ছুটি হলে যথপোযুক্ত রেজিষ্টার্ড ডাক্তারের সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে।

মজুরীসহ বার্ষিক ছুটিঃ

  • কোন শ্রমিক কারখানায় একটানা ১ (এক) বৎসর চাকুরীর মেয়াদ পূর্ণ করলে পরবর্তী ১২ (বার) মাসের মধ্যে মজুরীসহ বার্ষিক ছুটি ভোগ করিতে পারিবে।
  • কোন প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিক প্রতি ১৮ কর্মদিবসের জন্য ১ দিন।
  • এই ছুটি সম্পূর্ণ বা আংশিক ভোগ না করে থাকলে পরবর্তী বছরে তার পাওনা ছুটির সাথে তা যোগ করা হবে।
  • সর্বোচ্চ ৪০ দিন পর্যন্ত এই ছুটি জমা রাখা যাবে।
  • কোন শ্রমিক ১ বৎসর চাকুরী পূর্ণ করার পর বৎসরের যে কোন সময় চাকুরী হতে ইস্তফা দিলে তাহার প্রাপ্ত অর্জিত/বার্ষিক ছুটির পরিবর্তে আর্থিক সুবিধা পাইবার অধিকারী হইবেন।

বাংলাদেশ শ্রম বিধি ২০১৫ মতে-
১. ধারা ১১৭ অনুযায়ী বাৎসরিক বা অর্জিত ছুটি গণনার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ১২ (বার) মাসে শ্রমিকের কাজে উপস্থিতির দিনগুলিকে গণ্য করিতে হইবে।
২. কোন শ্রমিক চাহিলে তাহার অব্যয়িত অর্জিত ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ গ্রহন করিতে পারিবেন। তবে শর্ত থাকে যে, বৎসরান্তে অর্জিত ছুটির অর্ধেকের অধিক নগদায়ন করা যাইবে না এবং এরুপ নগদায়ন বৎসরে মাত্র ১ বার করা যাইবে।
৩. কোন শ্রমিক তাহার মজুরীসহ বার্ষিক ছুটি পাওনা থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করিলে, তাহার ছুটি বাবদ মজুরী তাহার মনোনীত বা আইনগত উত্তরাধিকারীকে পরিশোধ করিতে হইবে।

উৎসব ছুটিঃ

প্রত্যেক শ্রমিক বছরে অন্তত ১১ দিন পর্ব উপলক্ষ্যে সবেতন ছুটি ভোগ করতে পারবে।পর্বজনিত ছুটির দিন ও তারিখ কর্তৃৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হবে। জরুরী প্রয়োজনে পর্ব উপলক্ষ্যে যে কোন ছুটির দিন কাজ করানো হলে তা ওভারটাইম হিসাবে গন্য হবে এবং একটি বিকল্প ছুটির ব্যবস্থা করা হবে।

মাতৃত্বকালীন ছুটিঃ

কোম্পানী মহিলা কর্মীদের জন্য নিম্নলিখিত শর্তানুযায়ী মাতৃত্বকালীন ছুটি প্রদান করবেঃ

  • এই ছুটি পেতে হলে একজন মহিলা কর্মীকে ন্যুনতম ৬ মাস একটানা এই কোম্পানীতে কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে।
  • সন্তান প্রসবের আট সপ্তাহ পূর্বে এবং প্রসবের আট সপ্তাহ পরে মোট ষোল সপ্তাহ এই ছুটি ভোগ করতে পারবে।
  • একজন মহিলা কর্মী কর্মরত অবস্থায় সর্বোচ্চ দুইবার এই ছুটি ভোগ করতে পারবেন কিন্তু উক্তরুপ সুবিধা প্রদেয় হইবে না যদি তাহার সন্তান প্রসবের সময় দুই বা ততোধিক সন্তান জীবিত থাকে, তবে ছুটি পাইবেন।
  • সন্তান প্রসবের আট সপ্তাহ পূর্বে ডাক্তারি সার্টিফিকেট সহ ছুটির আবেদন পত্র পেশ করবে এবং সন্তান প্রসবের পর ডাক্তরের সার্টিফিকেট দাখিল করতে হবে।
  • মাতৃত্বকালীন ভাতা ”মাতৃকালীন সুবিধা প্রদান নীতি অনুযায়ী” প্রদান করা হবে।

ছুটি বর্ধিতকরনঃ

ছুটিতে যাওয়ার পর শ্রমিক যদি ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধি করতে চায় এবং যদি বর্ধিত মেয়াদের জন্য ছুটি পাওনা থাকে তবে;

  • তাকে ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার যথেষ্ট আগে কর্তৃপক্ষের নিকট ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন পত্র পাঠাতে হবে।
  • ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও যদি পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে কর্মী কাজে যোগদান না করে এবং যথাসময়ে কাজে যোগদান না করার কারন সম্পর্কে কর্র্তৃপক্ষকে সন্তুষ্টিমূলক জবাব দিতে না পারলে চাকুরীর শর্ত হারাবে।
  • বিনা অনুমতিতে ১০ দিন অনুপস্থিত থাকার পর কোন কর্মী যদি কর্তৃপক্ষকে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারে, তবে তাকে অনুমোদিত ছুটির দিন ব্যতীত বাকী দিন গুলো বিনা বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা হবে। সকল প্রকার ছুটির দলিলপত্র (ক্ষতিপূরণমূলক ছুটি সহ) তদারক, রক্ষণাবেক্ষন, এবং নিয়ন্ত্রন করা হবে প্রশাসন ও এইচ আর বিভাগ দ্বারা ।

কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যে কোন সময় এই নীতি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

” Leave Policy ” নিম্ন বাটনে ক্লিক করে  ডাউনলোড করে নিন।

এই প্রথম ComplianceBangladesh.com ভিজিট করছেন?

আমাদের আছে সোশাল, সিটিপ্যাট, এনভায়রনমেন্টাল কমপ্লায়েন্স এর বৃহৎ আর্কাইভ।

চলুন মেইন পেজ যাই আর সব টপিকগুলো দেখি।