Recruitment Policy (শ্রমিক নিয়োগ নীতি)

ভূমিকাঃ কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ.কম (Compliance Bangladesh.com) এর অন্তর্ভূক্ত সকল পোশাক শিল্প কারখানায় জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপদ্ধতি অনুসরন করা হয়। আমরা প্রধানত: রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চলি তবে অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতাদের আচরনবিধি ও নিয়ম মেনে চলা হয় যদি তা স্থানীয় আইনের পরিপন্থী না হয়। আমাদের শ্রমিক নিয়োগ পদ্ধতি নিম্নরুপঃ

নীতিমালাঃ 

  • কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ.কম (Compliance Bangladesh.com) এর অন্তর্ভূক্ত সকল পোশাক শিল্প কারখানায় অপ্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিকদের নিয়োগ প্রদান করে না।
  • নিয়োগের ক্ষেত্রে অযাচিত কোন সুযোগ-সুবিধা চাকুরীপ্রার্থীর কাছ থেকে নেয়ার কোন বিধান এই কারখানায় নেই।
  • জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, নারী, পুরুষ, বৈবাহিক অবস্থা, গর্ভাবস্থা, রাজনৈতিক মতাদর্শ, ইত্যাদি বিষয় নিয়োগকালীন সময়ে বিবেচনায় আনা হয় না।
  • যদি কাজের ধরনের উপর কোন প্রভাব না পড়ে , সে ক্ষেত্রে কর্মে যোগ্য প্রতিবন্ধীদের চাকুরী প্রদানে নিরুৎসাহিত করা হয় না।
  • শ্রমিক নিয়োগ যেনো সুষম এবং বৈষম্যহীন হয় তার প্রতি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দেয়া হয়।

রিক্রটমেন্ট টিমঃ
জনবল নিয়োগের ব্যাপার কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ.কম (Compliance Bangladesh.com) এর অন্তর্ভূক্ত সকল পোশাক শিল্প কারখানার এইচ, আর, ডি ম্যানেজার, সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান, রিক্রুটমেন্ট অফিসার, মেডিক্যাল অফিসার এবং আই. ই বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিমের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগ করা হয়।

নিয়োগ পদ্ধতিঃ                                                                                                   

 – নতুন শ্রমিক বাছাই এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে রিক্রুটমেন্ট টিমের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ নিম্নলিখিত পদ্ধতি সমূহ অনুসরন করে থাকে।
– শূন্য পদে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে পোষ্টার, ব্যানার, লিফলেট বা অন্য কোন উপায়ে বিজ্ঞাপন প্রদানের মাধ্যমে দরখাস্ত আহবান করা হয়।
– শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট সেকশনের আইই অফিসারগন যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুুমোদন করে নিবেন।
– জনবল বাছাই বা নিয়োগের ক্ষেত্রে অত্র প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কেউ বা নিয়োগ টিমের কোন সদস্য চাকুরী প্রার্থীর নিকট থেকে কোন প্রকার অনৈতিক আর্থিক সুবিধা নিতে না পারে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তা নিশ্চিত করা হয়।
– নিয়োগ প্রার্থীদেরকে কারখানার নির্দিষ্ট আবেদনপত্রে আবেদন করতে হয়। বাছাই চুড়ান্ত হলে পারসোনাল ফাইল সংরক্ষনের জন্যে এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও আই, ডি কার্ড তৈরির জন্যে শ্রমিকদের কাছ থেকে ষ্ট্যাম্প সাইজ ছবি জমা নেয়া হয়।
– প্রাথমিক বাছাইয়ের সময় প্রত্যেককে প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক বয়স ও সক্ষমতা যাচাই পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
– উক্ত প্রতিষ্ঠানে চাকুরী পেতে হলে অপারেটর, হেলপার / সহকারী পদের জন্য পঞ্চম শ্রেনী এবং কাটিং সহকারী ও কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর পদের জন্য কমপক্ষে এস, এস, সি পাশ হতে হয়।
– নিয়োগপ্রাপ্তদেরকে কাজের স্থান ও ধরন উল্লেখ করে সময় রক্ষক ও শ্রমিক উভয়ের সাক্ষরের ব্যবস্থা সম্বলিত হাজিরা কার্ড ইস্যু করা হয় এবং উক্ত কার্ডে কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরও থাকে।
– নিয়োগ নিশ্চিত হওয়ার পর প্রত্যেক শ্রমিককে আইডি কার্ড ও নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়ে থাকে যাতে পদ, যোগদানের তারিখ, বেতন ভাতাদি, ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সহ নিয়োগ সংক্রান্ত শর্তাবলী লিপিবদ্ধ থাকে।
– নিয়োগপ্রাপ্ত প্রত্যেকের নামে ব্যক্তিগত তথ্যাদি সংরক্ষনের জন্য পারসোনাল ফাইল (ব্যক্তিগত নথি) সংরক্ষণ করা হয়।