Access control Policy for ctpat

প্রবেশাধীকার নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে কারখানায় অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রন, কর্মচারী এবং দর্শনার্থী যাতায়াত নিয়ন্ত্রন এবং প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি রক্ষা করা সম্ভব হয়। কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ.কম (Compliance Bangladesh.com) (কোম্পানীর নাম) কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে সকলের অবাধ প্রবেশাধীর প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর। কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য হলো সকলের অবাধ প্রবেশাধীকার নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে অনেক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বা অবসায়নকৃত শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান প্রতিটি কর্মচারীর অবাধ প্রবেশাধীকার নিয়ন্ত্রন করে থাকে। কর্মচারীদের প্রবেশাধীকার নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ নিন্মোক্ত নীতিমালা অবলম্বন করে থাকেঃ

০১। কর্তৃপক্ষ প্রতিটি শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের কারখানায় প্রবেশের জন্য পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা করেছেন।

০২। কারখানায় প্রবেশ, বাহির এবং কারখানায় অবস্থানকালীন সময় সব কর্মচারী তাদের পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় থাকে।

০৩। পরিচয় পত্র ব্যতীত কোন চলমান কর্মচারীকে কারখানায় প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা হয় না। যদি কেহ পরিচয় পত্র ব্যতীত কারখানায় আসে তবে একটি নির্দিষ্ট রেজিষ্টারে তার নাম লিপিবদ্ধ করা হয় এবং মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগে জানানো হয়।

০৪। সকল দর্শনার্থী যারা কারখানায় বিভিন্ন কাজে আগমন করে তাদের সকলকে ID Card/ Badge প্রদান করা হয় এবং কারখানায় অবস্থানকালীন সময় তারা ID Card/ Badge পরিহিত অবস্থায় থাকে।

০৫। কর্তৃপক্ষ কিছু নির্দ্দিষ্ট এলাকাকে “Restricted Area” ঘোষনা করেছেন, যেখানে শুধুমাত্র অনুমোদিত ব্যক্তিবর্গ চলাচল করতে পারে।

০৬। “Restricted Area” এ যাতায়াতকারী অনুমোদিত ব্যক্তিবর্গ নিদ্দিষ্ট পরিচয় পত্র বহন করে যাহা অন্যান্য পরিচয় পত্র থেকে সহজে পৃথক করা যায়।

০৭। “Restricted Area” এলাকায় কাজ করার সময় কর্মচারীগন পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় অবস্থান করেন।

০৮। কর্তৃপক্ষ “Restricted Area” এলাকায় নিরাপত্তা এলার্ম স্থাপন করেছে, ফলে কোন ব্যক্তি যদি “Restricted Area” এলাকায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করে তবে তা সয়ংক্রিয়ভাবে বেজে সকলকে সতর্ক করে দেয়।

০৯। কর্তৃপক্ষ সকলের প্রবেশাধীকার লক্ষ্য রাখার জন্য প্রতিটি প্রবেশ পথে এবং “Restricted Area” এলাকায় ভিডিও ক্যামেরার ব্যবস্থা করেছে, যার মাধ্যমে দিন রাত ২৪ ঘন্টা ভিডিও সংরক্ষন করে রাখা হয়।

১০। মালিক কর্তক অবসান, বরখাস্ত, ডিসচার্জ বা পদত্যাগের কারনে যদি কোন শ্রমিকের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠানের সাথে বিচ্ছিন্ন হয় তবে কর্তপক্ষ তার পরিচয় পত্র, তার অধীনে থাকা প্রতিষ্ঠানের মালামাল এবং মূল্যবান কাগজপত্র জমা নেওয়ার পর তাকে কারখানার বাহির হবার অনুমতি দেওয়া হয়।

১১। চাকুরীর অবসানকৃত শ্রমিকদের তালিকা ও ছবি নিরাপত্তা বিভাগের নিকট রক্ষিত বোর্ডে লাগিয়ে দেওয়া হয়, যাতে সহজে এদের চিহ্নিত করা যায়।

১২। যদি কোন কারণে কোন চাকুরী অবসানকৃত শ্রমিকের কারখানার অভ্যন্তরে প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তবে নিরাপত্তা প্রহরীর তত্বাবধানে তাকে শুধুমাত্র অফিস কক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

১৩। যদি কোন শ্রমিক দীর্ঘদিন কারখানায় অনুপস্থিত থাকে বা দীর্ঘদিনের ছুটিতে কর্মস্থল ত্যাগ করে তবে তার কারখানায় প্রবেশাধীকার সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অনুমতি গ্রহন ছাড়া প্রোডাকশন ফ্লোরে যেতে পারে না।

১৪। কোন ব্যক্তি যদি পরিচয়পত্র পরিহিত অবস্থায় না থাকে বা কোন অননুমোদিত ব্যক্তিকে “Restricted Area” দেখতে পাওয়া যায়, তবে নিরাপত্তা প্রহরীগন তাদের চ্যালেঞ্জ করার অধিকার রাখে ও তাদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের প্রচলিত নিয়মে তাদেরকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা যাইতে পারে।

এই প্রথম ComplianceBangladesh.com ভিজিট করছেন?

আমাদের আছে সোশাল, সিটিপ্যাট, এনভায়রনমেন্টাল কমপ্লায়েন্স এর বৃহৎ আর্কাইভ।

চলুন মেইন পেজ যাই আর সব টপিকগুলো দেখি।