Anti Harassment Policy
কারখানায় প্রয়োজনের তাগিদে অনেক নারী/পুরুষ শ্রমিক এবং কর্মচারী/কর্মকর্তা নিয়োজিত আছেন। কারখানায় কর্তব্যরত সকলের কাজের পরিবেশ হয়রানী ও নিপীড়ন মুক্ত রাখতে কর্মীদের মৌখিক, মানসিক, আর্থিক, শারীরিক, কিংবা যৌন সম্পর্কিত এবং অন্যান্য বিষয়াদির নিরাপত্তা বিধানে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এটাই হয়রানী ও নিপীড়ন রোধ নীতিমালা। কোন ব্যক্তি যদি কোন অবস্থায় উপরোক্ত আচরণ করে বা কাউকে উৎসাহিত করে, সেক্ষেত্রে আক্রান্ত শ্রমিককে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে উৎসাহিত করতে হবে এবং কোম্পানি তার প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ.কম (Compliance Bangladesh . com) (কোম্পানীর নাম) – এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ হয়রানী ও নিপীড়ন মুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই নীতিমালা বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
১.১ অঙ্গিকারঃ কারখানায় হয়রানী ও নিপীড়ন মুক্ত, যৌন হয়রানী মুক্ত কর্মক্ষেত্র গড়ার ক্ষেত্রে কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ.কম (Compliance Bangladesh . com) (কোম্পানীর নাম)-এর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮), শ্রমবিধি-২০১৫, যৌন হয়রানীমুক্ত শিক্ষা ও কর্মপরিবেশ তৈরিতে মহামান্য হাইকোর্ট প্রদত্ত নীতিমালা এবং বায়ারের আচরণ নীতিমালা সঠিক ভাবে অনুসরণে বদ্ধপরিকর।
১.২ রেফারেন্সঃ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত -২০১৮), শ্রমবিধি- ২০১৫, যৌন হয়রানীমুক্ত শিক্ষা ও কর্মপরিবেশ তৈরিতে মহামান্য হাইকোর্ট প্রদত্ত নীতিমালা, বি.এস.সি.আই. নীতিমালা এবং বায়ারের আচরণ নীতিমালা।
১.৩ উদ্দেশ্যঃ যে কোন প্রকার হয়রানী ও নিপীড়ন মুক্ত কর্মপরিবেশ গড়ে তোলা।
১.৪ লক্ষ্যঃ যে কোন প্রকার হয়রানী ও নিপীড়ন মুক্ত কর্মপরিবেশ এবং ব্যবসার সাথেও জড়িত সকলকে নিয়ে হয়রানী ও অপব্যবহার মুক্ত কর্মপরিবেশ, সুষ্ঠু, সুশৃংঙ্খল ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে কারখানা গড়ে তোলা এবং আচারণ, বৈষম্যমূলক আচারণ, দূর্ঘটনা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে সকলকে সচেতনা বৃদ্ধি করা এবং সুষ্ঠ ও সৌহার্দ্যপূর্ন কর্মপরিবেশ গড়ে তোলা।
২. পরিধিঃ
২.১ মৌখিক হয়রানিঃ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে কাউকে হুমকি দেয়া, নিয়মিত উচ্চস্বরে হাকডাক, কারো ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি, বর্ণ বা জন্মস্থান সম্পর্কে কোন ধরনের বিরূপ মন্তব্য করা এবং গালিগালাজ, অশ্রাব্য ভাষার ব্যবহার করা যা যে কোন ব্যক্তির জন্য আত্মমর্যাদা হানিকর এবং ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবোধের স্বাধীনতাকে খর্ব করে এরূপ আচরণ করা যাবে না।
২.২ মানসিক হয়রানিঃ কাউকে মৌখিক বা আচরণগত ভাবে অপদস্ত করা। যেমন, কোন কিছু ছুড়ে মারা, কারও বংশ, পারিবারিক, শিক্ষাগত যোগ্যতা বা ব্যক্তি জীবন নিয়ে নেতিবাচক কথা বলা বা মন্তব্য করা এবং অন্যান্য আচরণ যা শুনলে যে কেউ মানসিকভাবে আহত হয় অথবা যা দ্বারা মানসিক হয়রানির সংজ্ঞায় পড়ে এরূপ আচরণ করা যাবে না।
২.৩ যৌন হয়রানিঃ বিশেষ লিঙ্গের প্রতি অনাকাঙ্খিত সুযোগ প্রদান/ চাওয়া, এমন কোন শারীরিক বা মৌখিক আচরণ যা দ্বারা যৌন হয়রানী বোঝায় এরূপ আচরণ করা যাবে না। যেমনঃ
– অনাকাঙ্খিত যৌন আবেদনমূলক (সরাসরি কিংবা ইঙ্গিতে) যেমনঃ শারীরিক স্পর্শ বা এ ধরনের প্রচেষ্টা;
– প্রতিষ্ঠানিক এবং পেশাগত ক্ষমতা ব্যবহার করে কারো সাথে যৌন সর্ম্পক স্থাপনের চেষ্টা করা;
– যৌন হয়রানী বা নিপীড়নমূলক উক্তি;
– যৌন সুযোগ লাভের জন্য আবেদন;
– পর্ণোগ্রাফী দেখানো;
– যৌন আবেদনমূলক মন্তব্য বা ভঙ্গী;
– অশালীন ভঙ্গী বা মন্তব্যের মাধ্যমে উত্ত্যত্ত করা বা অশালীন উদ্দেশ্য পূরণে কোন ব্যক্তির অলক্ষে তার নিকটবর্তী হওয়া বা অনুসরণ করা, যৌন ইঙ্গিতমূলক ভাষা ব্যবহার করে ঠাট্টা বা উপহাস করা;
– চিঠি, টেলিফোন, মোবাইল, এসএমএস, ছবি, নোটিশ, কার্টুন, বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিল, কারখানা, বাথরুমের দেয়ালে
ইঙ্গিতমূলক অপমানজনক কোন কিছু লেখা;
– ব্লেকমেইল অথবা চরিত্র হননের উদ্দেশ্য স্থির বা ভিডিও ধারণ করা;
– যৌন হয়রানীর কারণে প্রতিষ্ঠানিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হওয়া;
– প্রেম নিবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হয়ে হুমকি দেয়া বা চাপ প্রয়োগ করা;
– ভয় দেখিয়ে বা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বা প্রতারণার মাধ্যমে যৌন সম্পর্ক স্থাপন বা স্থাপনে চেষ্টা করা;
২.৪ শারীরিক অপমানঃ সেই সকল শারীরিক সংস্পর্শ যার দ্বারা কেউ আঘাত পেতে পারে এবং সেই সকল সাজা যা শারীরিক অসুস্থতা সৃষ্টি করে এরূপ আচরণ করা যাবে না।
২.৫ মজুরী কর্তনঃ অন্যায় ভাবে কোন শ্রমিক/ কর্মচারীর মজুরী কর্তন করে হয়রানী করা যাবে না।
২.৬ অনৈতিক আর্থিক লেনদেনঃ উর্দ্ধতন কর্মকর্তা অধঃস্থন কর্মচারীর কাছ থেকে অন্যায় ভাবে অথবা চাকুরী দেয়ার নাম করে অননুমোদিত কোন অর্থ গ্রহন করা যাবে না অথবা অঅনুমোদিত অর্থ আদায়ের জন্য কোন প্রকার হয়রানী করা যাবে না।
২.৭ মৌলিক চাহিদার অপ্রতুলতাঃ পানীয় জল ও টয়লেট ব্যবহারের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করা যাবে না।
২.৮ কারখানার কাজের সময় ও অতিরিক্ত কাজের সময়সুচিঃ কোন শ্রমিককে শাস্তিস্বরূপ অতিরিক্ত সময়ে বাধ্যতামূলক কাজ করানো যাবে না ।
৩। নীতিমালাঃ
৩.১ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
– যৌন হয়রানীমূলক সকল প্রকার ঘটনাকে প্রতিরোধ করতে একটি কমিটি গঠন করা ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
– কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে তার প্রতিষ্ঠানে সংঘঠিত যৌন হয়রানীর বিরূদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের করার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৩.২ হয়রাণী ও নিপীড়ন প্রতিরোধে কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ.কম (Compliance Bangladesh . com) (কোম্পানীর নাম) এর ভূমিকাঃ
– কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ.কম (Compliance Bangladesh . com) (কোম্পানীর নাম) এ কর্মে নিযুক্ত কোন শ্রমিককে এ ধরনের হয়রনী ও নিপীড়ন করা হয় না। অর্থাৎ “হয়রানী, যৌন হয়রানী সম্পূন নিষিদ্ধ” এবং এই সকল সংবেদনশীল বিষয়ে যথাযথ তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমপ্লায়েন্স বাংলাদেশ.কম (Compliance Bangladesh . com) (কোম্পানীর নাম) একটি কার্যকরী “হয়রানী ও নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটি” গঠন করবে।
৩.২ হয়রানী ও নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটির গঠন প্রনালীঃ
– অভিযোগ গ্রহণ, তদন্ত পরিচালনা এবং সুপারিশ করার জন্য “হয়রানী ও নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটি” গঠন করা হবে।
– কমপক্ষে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হবে যার বেশীর ভাগ সদস্য হবেন নারী। সম্ভব হলে কমিটির প্রধান হবেন নারী ।
– কমিটির ০২ জন সদস্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাইরের থেকে নেওয়া হবে, যারা জেন্ডার এবং যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে কাজ করে।
– কমিটি সরকারের কাছে এ নীতিমালা বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বাৎসরিক অভিযোগ প্রতিবেদন পেশ করবে।
৩.২ হয়রানী ও নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটি কার্যক্রমঃ
– কমিটি প্রতি দুই মাস পরপর সাধারন সভার আযোজন করবে। জরুরী প্রয়োজনে অতি অল্প সময়ে নোটিশে সভার আযোজন করা যাবে।
– প্রতি দ্বিমাসিক সাধারন সভার এর ক্ষেত্রে ১৫ দিন আগে নোটিশ প্রদান করা হবে।
– শ্রমিকের কাছ থেকে সুনিদিষ্ট, তথ্য সমূদ্ধ অভিযোগ গ্রহণ করা।
– বিলম্ব না করে প্রতিটি অভিযোগের দ্রূত তদন্ত এবং সুপারিশ করা।
৪। হয়রানী বা অপব্যবহারমূলক অভিযোগ উত্থাপনের পদ্ধতিঃ
শ্রমিকগন তাদের প্রতি অসদাচরণের যে কোন অভিযোগ ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে নিম্নলিখিত উপায়ে উত্থাপন করতে পারেন।
- মৌখিকভাবে;
- বা লিখিতভাবে;
- নাম ঠিকানা গোপন করে অভিযোগ বাক্সের মাধ্যমে লিখিতভাবে;
- হয়রানী প্রতিরোধ কমিটি মাধ্যমে মৌখিক বা লিখিতভাবে।
৪.১ মৌখিক অভিযোগঃ
– যে কোন শ্রমিক-কর্মচারী কর্মক্ষেত্রে তাদের যে কোন ধরনের হয়রানী বা অপব্যবহারমূলক অভিযোগ ওয়েলফেয়ার অফিসার, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপক বা সহঃ মহাব্যবস্থাপকের নিকট মৌখিক অবহিত করিতে পারিবেন।
– প্রশাসন / এইচ আর বিভাগ প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে হয়রানী প্রতিরোধ কমিটি দ্বারা অভ্যন্তরীণ তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৪.২ লিখিত অভিযোগঃ
– যে কোন শ্রমিক-কর্মচারী কর্মক্ষেত্রে তাদের যে কোন ধরনের হয়রানী বা অপব্যবহারমূলক অভিযোগ মানব সম্পদ ব্যবস্থাপক বা সহঃ মহাব্যবস্থাপকের (প্রশাসন, মানবসম্পদ এবং কমপ্লায়েন্স) নিকট লিখিতভাবে অবহিত করিতে পারিবেন।
– প্রশাসন / এইচ আর বিভাগ প্রাপ্ত লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে হয়রানী প্রতিরোধ কমিটি দ্বারা অভ্যন্তরীন তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
৪.৩ নাম ঠিকানা গোপন করে পরামর্শ/ অভিযোগ বাক্সের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগঃ
– শ্রমিকগন কারখানার প্রতিটি ফ্লোরের বাথরুমে রক্ষিত অভিযোগ বাক্সে আপত্তিকর আচরনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে পারিবেন, এমনকি পরিচয় গোপন করে অভিযোগ দিলেও এর সুষ্ঠু তদন্ত করে সমাধান দেওয়া হবে।
– প্রতি শনিবার অভিযোগ বক্স খোলা কমিটির প্রতিনিধির দ্বারা উক্ত বাক্সের তালা খুলে অভিযোগপত্র সংগ্রহ করে তা একটি রেজিষ্টারে সংগ্রহ করবেন।
– প্রশাসন / এইচ আর বিভাগ প্রাপ্ত লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে হয়রানী প্রতিরোধ কমিটি দ্বারা অভ্যন্তরীন তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
৪.৪ হয়রানী প্রতিরোধ কমিটির মাধ্যমে অভিযোগঃ
– শ্রমিক তাহার অভিযোগ হয়রানী প্রতিরোধ কমিটির সদস্যের মাধ্যমে জানাতে পারবে।
অভিযোগ গঠন চিত্র অনুযায়ী সমাধান করা হবে।
৫.১। কল্যাণ কর্মকর্তাঃ
শ্রমিক তার হয়রানী অথবা নিপীড়ন সম্পর্কিত অভিযোগ কল্যাণ কর্মকর্তার নিকট লিখিত বা মৌখিকভাবে উত্থাপন করতে পারেন। কল্যাণ কর্মকর্তা বিষয়টি হয়রানী প্রতিরোধ কমিটির নিকট অবহিত করবেন। অভিযোগ নিষ্পত্তির পর তিনি তা সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারীকে অবহিত করবেন।
৫.২। উপ-ব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ এবং প্রশাসন)/ সিনি. এক্সিকিউটিভ (কমপ্লায়েন্স)
বিভিন্ন হয়রানী অথবা নিপীড়ন সম্পর্কিত অভিযোগ (লিখিত/মৌখিক) শোনবেন এবং প্রয়োজনে সরেজমিনে প্রাথমিক তদন্ত করবেন। বিষয়টি হয়রানী প্রতিরোধ কমিটির নিকট অবহিত করবেন সুষ্ঠু ও নিবিড় অনুসন্ধান ও প্রতিবেদন দাখিলের জন্য । তিনি হয়রানী প্রতিরোধ কমিটির কাছ থেকে প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এছাড়াও অভিযোগ সংক্রান্ত নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য তিনি প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৫.৩। হয়রানী নিরসন কমিটিঃ
হয়রানী নিরসন কমিটি অভিযোগ প্রাপ্তির পর যত দ্রæত সম্ভব প্রাপ্ত অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের জন্য নিম্ন লিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেঃ
ক. লঘূ হয়রানির ক্ষেত্রে যদি সম্ভব হয়, হয়রানী নিরসন কমিটি সংশিষ্ট উভয় পক্ষের সম্মতি নিয়ে অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নিবে এবং এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করবে।
খ. অন্য সকল ক্ষেত্রে হয়রানী নিরসন কমিটি বিষয়টি তদন্ত করবে।
গ. অভিযোগ কমিটি ডাকের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রিকৃত নোটিশ উভয় পক্ষকে এবং সাক্ষীদের প্রেরণ করা, শুনানি পরিচালনা, তথ্য প্রমাণ এবং সকল সংশ্লিষ্ট দলিল পর্যবেক্ষণের ক্ষমতা রাখবে।
৫.৪। সহঃ মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন,মানব সম্পদ ও কমপ্লায়েন্স)
হয়রানী প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা যেন কারখানায় কার্যকরীভাবে বাস্তবায়ন হয় তা নিশ্চিত করবেন। প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করবে।
৬। হয়রানী বা অপব্যবহারমূলক অভিযোগ নিষ্পত্তি পদ্ধতিঃ
৬.১। তদন্ত, শুনানি এবং সুপারিশ পদ্ধতিঃ
হয়রানী নিরসন কমিটি অভিযোগ প্রাপ্তির পর যত দ্রুত সম্ভব প্রাপ্ত অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের জন্য নিম্ন লিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেঃ
ক. লঘূ হয়রানির ক্ষেত্রে যদি সম্ভব হয়, হয়রানী নিরসন কমিটি সংশিষ্ট উভয় পক্ষের সম্মতি নিয়ে অভিযোগ নিষ্পত্তির উদ্যেগ গ্রহণ করবে এবং এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করবে।
খ. অন্য সকল ক্ষেত্রে হয়রানী নিরসন কমিটি বিষয়টি তদন্ত করবে।
গ. অভিযোগ কমিটি ডাকের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রিকৃত নোটিশ উভয় পক্ষকে এবং সাক্ষীদের প্রেরণ করা, শুনানি পরিচালনা, তথ্য প্রমাণ এবং সকল সংশ্লিষ্ট দলিল পর্যবেক্ষণের ক্ষমতা রাখবে।
এছাড়াও
– অভিযোগের ক্ষেত্রে মৌখিক প্রমাণ ছাড়াও পরিস্থিতিগত প্রমাণের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
– অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখতে হবে।
– অভিযোগকারীর সাক্ষ্য গ্রহণের সময় এমন কোন প্রশ্ন বা আচরণ করা যাবে না যা উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপমানজনক এবং হয়রানিমূলক হয়।
– সাক্ষ্যগ্রহণের সময় যথাসম্ভব গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে।
– অভিযোগকারী যদি অভিযোগ তুলে নিতে চায় বা তদন্ত বন্ধের দাবি জানায় তাহলে এর কারণ তদন্ত করে প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে হবে।
– ৩০ দিনের মধ্যে কমিটির সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করতে হবে।
– স্বচ্ছ এবং নির্ভুল তদন্তের জন্য সময়সীমা ৩০ কার্যদিবস থেকে ৬০ কার্যদিবস পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।
– যদি প্রমাণিত হয় যে, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের জন্য সুপারিশ করা হবে।
– অভিযোগ কমিটির বেশিরভাগ সদস্য যে রায় দিবে তার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
৬.২। শাস্তিঃ
– কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারে।
– অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে হয়রানী/ যৌন হয়রানীর অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করবে এবং কর্মক্ষেত্রের শৃঙ্খলা বিধি অনুসারে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
– যদি উক্ত অভিযোগ দন্ডবিধির যেকোন ধারা অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় তাহলে প্রয়োজনীয় আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে যা পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট আদালতে বিচার হবে।
৭.পদ্ধতি ও রুটিনঃ
৭.১ পলিসি বাস্তবায়নঃ
৭.২ যোগাযোগের রুটিনঃ
৭.৩ প্রতিক্রিয়া রুটিনঃ
৮. যোগাযোগ ও বাস্তবায়নঃ
৮.১ যোগাযোগ রুটিন ৭.২ অনুসরণ করা
৮.২ বাস্তবায়ন রুটিন ৭.১ অনুসরণ করা।
৯. ফিডব্যাক ও কন্ট্রোলঃ
পলিসি বাস্তবায়নে সংগঠনের সদস্যরা সঠিকভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছে কি না, পলিসি বাস্তবায়নের পদ্ধতি ও রুটিন সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না, যোগাযোগ ও বাস্তবায়নের সকল মাধ্যম সক্রিয় আছে কি না, পলিসি বাস্তবায়নে অঙ্গীকার, উদ্দেশ্য, লক্ষ্য, রেফারেন্স সঠিকভাবে নির্ধারিত হয়েছে কি না প্রভূতি বিষয়ের উপর অভ্যন্তরীণ অডিট পরিচালিত হবে। এছাড়াও পলিসি বাস্তবায়নে যোগাযোগ ও পদ্ধতি সম্পর্কে সাধারণ শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মনোভাব, তাদের জানার পরিধি এবং প্রায়োগিক ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণের মাত্রা নিরুপনের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শেষে মূল্যায়ন পত্রের মাধ্যমে বাস্তব অবস্থা অনুধাবন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
This is the end of Anti harassment policy
নিম্ন বাটনে ক্লিক করে পলিসি টি ডাউনলোড করে নিন।
এই ধারাবাহিক পর্বে আছেঃ
এই প্রথম ComplianceBangladesh.com ভিজিট করছেন?
আমাদের আছে সোশাল, সিটিপ্যাট, এনভায়রনমেন্টাল কমপ্লায়েন্স এর বৃহৎ আর্কাইভ।
চলুন মেইন পেজ যাই আর সব টপিকগুলো দেখি।
মেইন পেজ
Recent Comments