উৎসব ছুটির দিনে কাজ করলে কর্মীরা কী ক্ষতিপূরণ পাবেন?

উৎসব ছুটির দিনে কাজ করলে কর্মীরা কী ক্ষতিপূরণ পাবেন?

বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী, কোনও কর্মী যদি উৎসব ছুটির দিনে (যেমন ঈদ, পূজা, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ইত্যাদি) কাজে নিযুক্ত হন, তাহলে তিনি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার রাখেন। এই বিষয়টি বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) -এর ধারা ১১৮ এ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬:

১১৮। (১) প্রত্যেক শ্রমিককে প্রতি পঞ্জিকা বৎসরে এগার দিনের মজুরীসহ উৎসব ছুটি মঞ্জুর করিতে হইবে।

(২) বিধি দ্বারা নির্ধারিতভাবে মালিক উক্ত ছুটির দিন ও তারিখ স্থির করিবেন।

^1* [ (৩) কোনো শ্রমিককে কোনো উৎসব-ছুটির দিনে কাজ করিতে বলা যাইতে পারিবে, তবে ইহার জন্য তাহাকে এক দিনের বিকল্প ছুটি এবং দুই দিনের ক্ষতিপূরণমূলক মজুরি প্রদান করিতে হইবে।]

^{[ 1*}  উপ-ধারা (৩) বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৮ নং আইন) এর ১৭ ধারা বলে প্রতিস্থাপিত। ]

ধারা ১১৮ অনুযায়ী, উৎসব ছুটি হলো এমন ছুটি যা সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃক বছরে নির্ধারিত নির্দিষ্ট সংখ্যক দিবসের জন্য দেওয়া হয়, সাধারণত তা ১১ দিন হয়ে থাকে। এই ছুটিগুলোতে কর্মীদের বেতনসহ ছুটি উপভোগের অধিকার রয়েছে। তবে, যদি বিশেষ কারণে কোনো কর্মীকে উৎসব ছুটির দিনে ডিউটিতে রাখা হয়, তাহলে তা অতিরিক্ত কাজ (overtime) হিসেবে গণ্য হবে না, বরং প্রতিস্থাপনমূলক ছুটি বা অতিরিক্ত মজুরি দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

ধারা ১১৮ অনুযায়ী, যদি কোনো শ্রমিককে ছুটির দিনে কাজ করানো হয়, তাহলে তাকে:

১। অতিরিক্ত এক দিনের ছুটি অন্য কোনো দিনে প্রদান করতে হবে, এবং  ২ দিনের ক্ষতিপূরণমূলক মজুরি প্রদান করতে হবে।

সার সংক্ষেপে, হ্যাঁ, কর্মী উৎসব ছুটির দিনে কাজ করলে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ পাবেন, এবং তার জন্য  একটি অতিরিক্ত ছুটি এবং ক্ষতিপূরণ মজুরি প্রদান করতে হবে।

আরও নতুন পোস্ট